হারলেই সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনার সমাপ্তি— এমন সমীকরণের ম্যাচে পারলেন না লঙ্কানরা। বাটলারের ঝড়ো শতকে বড় সংগ্রহের পর রশিদ-জর্ডানের বোলিংয়ে লঙ্কানরা থামল ১৩৭ রানে। ২৬ রানের হারে কার্যত আসর থেকেই ছিটকে গেল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আর তাতেই আসরের শীর্ষে থাকা ইংলিশরা টানা চার জয়ে নিশ্চিত করল সেমিফাইনাল।
অবশ্য এদিন টসে হেরে ব্যাটিয়ে বাজে শুরু করে ইংলিশরা। দুর্দান্ত লাইন-লেন্থে শুরু থেকে দারুণ ভাবে আটকে রাখে লঙ্কান বোলাররা। শুরুতে ব্যাক্তিগত ৯ রানের মাথায় ডি সিলভার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন জেসন রয়। ধাক্কা সামলাতে আসা ডেভিড মালানও ছিলেন খাপছাড়া। ৮ বলে ৬ রান করে চামিরার বলে ফেরেন তিনি। পরে বেয়ারস্টোকে রানের খাতাই খুলতে দেননি ডি সিলভা।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট তুলে লঙ্কানরা আদতে চেপে ধরেছিল ইংলিশদের। কিন্তু একপাশ আগলে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্লো ফিফটির রেকর্ড গড়েন বাটলার। ৪৬ বলে অর্ধশতক ছোয়ার পর চড়াও হন এই হার্ডহিটার। পরবর্তী ২১ বলে শেষ বলের ছক্কায় গড়েন নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি শতক।
জশ বাটলারে অনবদ্য এবং বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে শুরুর শঙ্কা উড়িয়ে লঙ্কানদের সামনে ১৬৪ রানের বড় সংগ্রহ দাড় করায় ইংলিশরা। দলের বিপর্যয়ে অধিনায়ক মরগানের সঙ্গে ১১২ রানের জুটি গড়েন বাটলার। আর শেষটায় ৬৭ বলে ১০১ রানের ইনিংস সাজান ৬টি করে চার-ছয়ে। ৩৬ বলে ৪০ রান করেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তিনটি উইকেট নেন হাসারাঙ্গা।
আসরে টিকে থাকতে লঙ্কানদের ১৬৪ রানের প্রযোজনে সব উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১৩৭ রান। এদিন জবাবে ১.৩ ওভারে ৮ রান তুলতেই তারা হারান প্রথম উইকেট। রান আউটের ফাঁদে পাথুম নিশাকা (১) ফিরলে চাপে পড়ে লঙ্কানরা।
পাওয়ার প্লেতেই তারা হারায় আসালাঙ্কা (২১) ও কুশল পেরেরাকে (৭)। বেশি সময় থাকতে পারেননি আভিষ্কা ফার্নান্দো। ১৪ বলে ১৩ রান করে জর্ডানের এলবির শিকার হন তিনি। পরে ১৮ বলে ২৬ করে ফেরেন ভানুকা রাজাপাকসে।
১১ ওভারে ৭৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লঙ্কানরা। সেই চাপ পড়ে আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি। যদিও দারুণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন দাসুন শানাকা (২৬) ও হাসারাঙ্গা ডি সিলভা (৩৪)। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে জেসন রয়ের দুর্দান্ত ক্যাচে ডি সিলভার ফেরার পর বাটলারের দুর্দান্ত থ্রোতে ফিরেন শানাকাও। তাতেই ম্যাচ থেকে সম্পূর্ণ ছিটকে যায় লঙ্কানরা। শেষে লিভিংস্টোন ও মঈনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৩৭ রানেই থামে লঙ্কানরা। টেবিলে ৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২। বাকি আছে একটি ম্যাচ। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।