নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রনয়নের নির্দেশনা চেয়ে চেয়ে রিট সরাসরি খারিজ (সামারিলি রিজেক্ট) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
রিটকারী ইয়ারুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়া দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব। তিনি একজন আইনজীবীও। রিটটি দায়েরের পর তিনি বলেন, সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে রিট করেছি। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) বিবাদী করা হয়েছে।
সংবিধানে থাকা সত্ত্বেও কেন আইন করা হচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা আইন চান না। তারা ভিন্নভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতেই নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করছে না।’
আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, এর আগে ‘নির্বাচন কমিশন আইন ২০২১’ এর খসড়ার আলোকে আইন প্রণয়ন করার জন্য আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু চিঠি দেওয়ার পরও নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এজন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের তোড়জোর চলছে। কোনো আইন না থাকায় রাষ্ট্রপতি গঠিত সার্চ কমিটির মাধ্যমে সাধারণত নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। এবারও সেই প্রক্রিয়াই চলছে।
গত ৭ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, ইসি গঠনে কোনো আইন হচ্ছে না। সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের সদস্য নিয়োগ করা হবে।