ভয়
ফুলশয্যার রাত।
ছেলেটি ভদ্র এবং বড় চাকুরে।
ভয়, যদি ঠিক করে না করতে পারে !
তাই বন্ধুদের কথা শুনে তিন পেগ মদ খেয়ে সব উল্টোপাল্টা হল।
সেই রাতেই ঠিক হয়ে গেল বিচ্ছেদের ঘন্টা।
শেষে
বিয়ের কার্ড দিতে এল মাধবী। সমর বলল, শেষে চলে যাচ্ছো,আমি কীসে কম ছিলাম?
— আমিও তো অপেক্ষা করেছিলাম, কোনদিন তো বলোনি?
—-ছেলেরাই সব সময় আগে বলবে?
—- আমি তো তাই জানি।
অভিজ্ঞতা
বিয়ের সাতদিন পর বিদিশা বলল সদ্য স্বামীকে, এত সব জানলে কী করে?
— কেন,তুমি খুশি হওনি?
—‘ হয়েছি বলেই বলছি। তবু মনে হচ্ছে তুমি অনেকের সঙ্গেই করেছো।
——আমারও একই রকম মনে হল।
বাজ
কে কখন কার চিরশত্রু হবে কে জানে। কতবার বলেছিল সুভাষ, বিয়ে যখন হবেই কিছুদিন পর, চল একবার দেখি তোমার শরীরটাকে।
— না,এসব এখন নয় ,সারাজীবন পড়ে আছে ।
বিয়ের কেনাকাটা করতে গিয়ে বাজ পড়ে সুভাষ মরে গেল রাস্তায়।
মিনতি সেই থেকে বাজের শব্দ শুনলেই অভিশাপ দিয়ে যায় আজ কুড়ি বছর ধরে মানসিক হাসপাতালে।
ভিমরুতি
ছেলেরা বহুগামি হয় মেয়েদের জন্যই। একটা পুরুষকে বশ করার সব অস্ত্র মেয়েদের আছে। তবু কোনদিন তারা বোঝেনি। না হলে ভৌমিকবাবু আসানসোল থেকে প্রত্যেক শনিবার সোনাগাছিতে আসতো না! ভৌমিক স্ত্রীকে রাতে বললেই, যতসব বুড়ো বয়সে ভিমরুতি …. বলেই পাশ ফিরে শুত।
পরকীয়া
সারাজীবন ঘর করে মানসী জানতেই পারল না তার স্বামী শহরে আরেকটি মেয়ের সঙ্গে থেকেছে।জানতে পারল অবসরের আগে মৃত্যুর খবর শুনে। সরকারি চাকরি করত। শেষে কোর্ট
থেকে ফয়সালা হল।পাওনা টাকা পাবে প্রথম স্ত্রী।আর চাকরি হল শহুরে বউ এর।
পুরূষ চরিত্রও বোঝা মুস্কিল।