আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৮ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এবার ২২ লাখ ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
এসময় এতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, এ বছর এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ফয়েল পেপারে মোড়ানো প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকরা যাতে ভিড় না করে সে জন্য কেন্দ্র সচিবের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ঘোষণা মতে, করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা সব বিষয়ে না নিয়ে কেবল গ্রুপভিত্তিক নৈর্বাচনিক তিন বিষয়ে নেওয়া হবে। পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরের। তিন ঘণ্টার পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টায়। উত্তরপত্রে ১০০ নম্বরের ওপর মূল্যায়ন করা হবে। করোনার কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে নিজ আসনে বসতে হবে।
এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এমসিকিউ এবং সিকিউ অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর সিট বিতরণ, সকাল ১০টায় বহুনির্বাচিনী প্রশ্নপত্র বিতরণ, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র ওএমআর শিট সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।