দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৮১ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে দ্বিতীয় ধাপে ১১৫ উপজেলার ৮৪৬টি ইউপিতে ভোট হবে ১১ নভেম্বর।
এসব ইউপির মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৪ হাজার ৭৫ জন। বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ৩ হাজার ৩১০ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৮১ জন।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৯ হাজার ৪৯৮ জন। বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ৯ হাজার ১৬১ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৭৬ জন।
এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৩০ হাজার ৮৮৩জন প্রার্থী। বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে রয়েছেন ২৮ হাজার ৭৪৭ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২০৩ জন প্রার্থী।
গত ২০ জুন প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ২০৪টি ইউপির মধ্যে ২৮ জন এবং ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ১৬০ ইউপির মধ্যে ৪৫ জন চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অর্থাৎ প্রথম ধাপে ৭৩ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৭টি দল প্রার্থী দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদে ৮৩৮ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩৬৮ জন, জাতীয় পার্টি ১০৭ জন, জাতীয় পার্টি-জেপি ৩ জন, কংগ্রেস ৭ জন, জাকের পার্টি ৪৯ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ২৬ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ৫ জন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল ৩ জন, গণতন্ত্রী পার্টি ২ জন, বাসদ ২ জন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ ৩ জন, খেলাফত মজলিশ ২ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ১ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৫ জন, ইসলামী ঐক্যজোট ১ জন ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।
এছাড়া স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যানে পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ২ হাজার ৬৫৫ জন। সব মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৪ হাজার ৭৫ জন।
তফসিল অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের সময় ২৭ অক্টোবর। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ৩৬৯ ইউপিতে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে ইসি। ২৮ নভেম্বর ১ হাজার ৭টি ইউপির ভোট হবে।