শান্তির বাংলাদেশকে মৌলবাদী ও একটি কুচক্রী মহল অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এ জন্য বারবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আগের ঘটনাগুলোয় অপরাধী ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারনে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে। এদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ পাশ ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন ও জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ৬০টি সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ করাসহ একজন উপ-রাষ্ট্রপতি ও একজন উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করা, দখল হওয়া দেবোত্তর সম্পত্তি নিজ নিজ মঠ ও মন্দির হস্তান্তরসহ উদ্ধার হওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিমা জাদুঘরের পরিবর্তে মঠ-মন্দিরের কাছে ফেরত দিতে হবে।
সোমবার বিকেল ৪ টায় উপজেলার বাবুরবাড়ির তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জিরোপয়েন্ট মোড়ে মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান-ঐক্য পরিষদের ডাকে কর্মসূচিতে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, হিন্দু সংরক্ষন এবং বাস্তবায়ন ও রামপাল উপজেলা অপরাজিতা নেটওয়ার্কসহ বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠনের নেতাকর্মীরা, রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ এই সমাবেশে অংশ নেন।
কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোরয়ান অবমাননার নামে ৭১ এর পরাজিত শত্রুরা ধর্ম নিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের পায়তারা চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান অবমাননাসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে কুমিল্লা, চাঁদপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, রংপুর, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শারদীয় দূর্গাপুজায় মন্দিরে পূর্ব পরিকল্পিত হামলা, পূজা বন্ধ, অগ্নিসংযোগ, প্রতিমা ভাঙচুর, সেবাইত ও ভক্তদের নৃশংস হত্যাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে ও দোকানে লুট ও জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মিলন কুমার ব্যানার্জ্জী বলেন, আমাদের অন্যতম দাবি হিন্দু সুরক্ষা আইন। এজন্য সাইবার ক্রাইমের মতো বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। এর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
জয়নগর পিপুলবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত কুমার ঢালী এর সভাপতিত্বে ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থার বিভাগীয় সমাজ কল্যাণ সম্পাদক স্ট্যালিন হালদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, হুড়কা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তপন কুমার গোলদার, এ্যাডভোকেট দিব্যেন্দু বোস, বাংলাদেশ জনতা পার্টি কেন্দ্রীয় সদস্য রাজেন্দ্রনাথ রায়, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের বাগেরহাট জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ দেবনাথ, রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ, দিগরাজ ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক নিত্যানন্দ মন্ডল, হুড়কা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিচিত্র বীর্য পাড়ে, রামপাল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক অশোক মন্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা পার্থ প্রতিম বিশ্বাস, ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য মিলন মন্ডল, পার্থ প্রতিম ঠাকুর, স্বপন কুমার মন্ডল, কালিবাবু মন্ডল, সুজন মল্লিক, শতদল বিশ্বাস, শিমুল বোস, সজল অধিকারী প্রমূখ।