কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন মজিদ রাখায় মণ্ডপে ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, পূজামণ্ডপে হামলা মামলার যখন প্রতিবেদন পাওয়া যাবে তখন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হবে।
শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভাল হলে নবাগত সাব-রেজিস্ট্রারদের বরণ এবং রেজিস্ট্রার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, কুমিল্লার মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পরিচালিত হবে। ভিডিও ফুটেজগুলো আদালতে জমা দেওয়া হলে তা আমলে নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, ভিডিও দেখে আসামি শনাক্ত করা হয়েছে। ভিডিও এভিডেন্স গ্রহণ করার একটা ধারা আছে। সে ধারায় কোনো অসুবিধা হবে না। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে।
শারদীয় দুর্গাপূজার মহা অষ্টমীর দিন ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে দর্পণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন দেখা যায়। এরপর কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ওই ঘটনার জেরে সেদিনই চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলা হয়, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় পাঁচজন।
পরের কয়েকদিন নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়। তাতে নোয়াখালীতে নিহত হয় দুজন। এর মধ্যে কুমিল্লা পুলিশ বুধবার নানুয়া দীঘির পাড়ের দুটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও বিশ্লেষণ করে ইকবাল নামে এক যুবককে শনাক্তের কথা জানায়। এরপর গত বৃহস্পতিবার ইকবালকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করার পর কুমিল্লায় আনে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাত দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।