কক্সবাজারে আটক হওয়া যুবকই ইকবাল হোসেন বলে নিশ্চিত হয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। কক্সবাজার থেকে তাকে কুমিল্লায় আনা হচ্ছে। এর নেতৃত্বে আছেন কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি কক্সবাজারে যে যুবক আটক হয়েছে সে কুমিল্লার ইকবাল হোসেন। আমাদের একটি টিম তাকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে । আশা করা হচ্ছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে পরে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
এসপি ফারুক আহমেদ বলেন, কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘিরপাড়ে পূজামণ্ডপে কোরআন রেখেছিলেন দ্বিতীয় মুরাদপুর লস্করপুকুরপাড়ের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন। মণ্ডপের আশপাশসহ নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়া দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ৯ মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।