ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির সামনে পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ প্রায় ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে এ সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে। এ ঘটনায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সূত্র জানায়, শনিবার বিকালে শহরের ট্রাংক রোডে পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিবাদ মিছিল হওয়ার কথা ছিল। সে সময় একই স্থানের বড় মসজিদের সামনে কয়েকজন যুবক অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। খবর পেয়ে ফেনী থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
এ সময় ট্রাংক রোডের ওই অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। থেমে থেমে পুলিশের ওপর ইটপাটকেলও নিক্ষেপ হয়। এ সময় পুলিশও ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়তে থাকে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য উপস্থিত হয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগ-যুবলীগের একটি মিছিল ওই স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় মসজিদের সামনের যুবকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময়ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এতে ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য, বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের স্থানীয় ক্যামেরা পারসন রিয়াদ মোল্লা, যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ডালিমসহ ২৫-৩০ জন আহত হন।
ফেনীর পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুনবী বলেন, দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তবে সঠিক সংখ্যাটা এখনই বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে টিয়ার শেল, ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে বলেও জানান তিনি।