বরগুনার আমতলীতে পানের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই প্রান্তিক চাষীদের মুখে। ভরা মৌসুমেও পানের দাম না পেয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। পানের ব্যাপক আমদানি হলেও নেই বিক্রি। পান চালানেও বিপাকে পড়েছে পান চাষিরা। ফলে তারা চরমভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। অথচ গ্রাম থেকে যাওয়া এ পান নগরীতে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
এ জন্য হাটবাজারে পানির দামে পান বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে অনেকের। সব মিলিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন স্থানীয় পান চাষিরা। শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, অতিরিক্ত দামে খৈল ও বাঁশের শলা ক্রয়সহ প্রয়োজনীয় উপকরণের বাজার উর্ধ্বমুখী হওয়ায় এতে আরও বিপাকে পড়েছেন তারা।
প্রান্তিক কৃষকদের দাবি, করোনায় পরিবহন সংকটের সুযোগে পাইকাররা সিন্ডিকেট করে পানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তবে পাইকাররা বলছেন, করোনায় পানের চাহিদা আগের তুলনায় কম।
হাটবাজারে পানের ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ উপজেলার প্রায় দেড় হাজারের বেশি পানচাষি।
গত বছরের তুলনায়, ভরা মৌসুমেও চাষিরা পানের ন্যায্য দাম পাননি। পানের দাম না বাড়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা।
গ্রামীণ জনপদের খেটে খাওয়া এই মানুষগুলো বিশ্বাস করে, সরকার যদি এই সিন্ডিকেটকে ভেঙে সহয়তা করে জীবিকার তাগিদে আবারও ঘুরে দাঁড়াবেন প্রান্তিক চাষিরা।
কুকুয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের পানচাষি বাদল দফাদার ও রহিম ব্যাপারি বলেন, এবছর পান বিক্রি করে লাভ তো পরের কথা, পানচাষের খরচ ওঠে কি না সন্দেহ আছে। এবছর অনেক চাষি লোকসানের মুখে পড়বেন। যে পান ১ হাজার টাকা বিড়া বিক্রি করছি সে পান একশত টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। দিনমজুরি দিতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের।
উপজেলা কৃষি অফিসার সি এম রেজাউল করিম বলেন, আমাদের চেষ্টা থাকে যাতে পানের ফলনে কোনো সমস্যা না হয়। পান চাষিদের গত বছরের তুলনায় এবছর পানের দাম খুবই কম। পানের চাহিদা সারা দেশেই রয়েছে। এখান থেকে যদি অন্যত্র পান রপ্তানি করা যায় তাহলে পান চাষিরা বেশি মূল্য পাবে।