নরওয়ের কংসবার্গে তীর ছুঁড়ে পাঁচ ব্যক্তিকে হত্যাকারী ব্যক্তি একজন ড্যানিশ নাগরিক। তার নাম এসপেন অ্যান্ডারসেন ব্রুথেন (Espen Andersen Bråthen)। ৩৭ বছর বয়সী এই হত্যাকারী ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কংসবার্গে বসবাস করেন।
২০১৭ সালে তিনি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। সেসময় তিনি ভিডিওতে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘Hi. I’m a messenger. I’m come with a warning. Is this really what do you want? And and to all who want to my culf for himself, so its time. Be witness that I am a Muslim.’
শেয়ার করা ভিডিও পোস্টটি প্রকাশের পরে হত্যাকারীর ছোটবেলার এক বন্ধু চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং তিনি পুলিশকে ইমেইলে সতর্কবার্তা প্রেরণ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিং এ নরওয়ের আইন শৃঙ্গলা নিরাপত্তা বাহিনী বলেছে যে তারা মনে করে যে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত ৩৭ বছর বয়সী এই ড্যানিশ নাগরিক ধনুক-তীর এবং অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে বুধবার পাঁচজনকে হত্যা করেছে যা একটি বর্বর সন্ত্রাসী কাজ। বুধবারের হামলার শিকারদের মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ বছর বয়সী চারজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছে। দুইজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও আটক ড্যানিশ নাগরিক এসপেন অ্যান্ডারসেন ব্রুথেনকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং পুলিশের কাছে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছে। তার জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দেশটির পুলিশ মনে করে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সে একাই ঘটিয়েছে। তার কাছে তীর ধনুক ছাড়াও ছুরি পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার কিছু পরে এক ব্যক্তি তীর ধনুক নিয়ে হাঁটছিলেন আর আশেপাশের হেঁটে যাওয়া পথচারীদের উদ্দেশ্যে ধনুক ব্যবহার করে তীর ছুঁড়ছিলেন। এতে তৎক্ষণাৎ পাঁচজন নিহত হন এবং দুইজন আহত হন. পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ধর্মান্তরিত মুসলিম ড্যানিশ নাগরিক এসপেন অ্যান্ডারসেন ব্রুথেনকে গ্রেপ্তার করেন।