সিরাজগঞ্জ থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে মহাসড়কটিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন এসব যানে থাকা যাত্রী ও চালকরা।
সিরাজগঞ্জের নলকা ব্রিজ সংস্কার ও মহাসড়কে উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় এমন যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮৮ সালে সিরাজগঞ্জ-বগুড়া আঞ্চলিক সড়কের ফুলজোড় নদীর ওপর নির্মিত নলকা সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে সেতুটি দিয়ে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তারপরও ধীরগতিতে যান চলাচল করছে সেতুটি দিয়ে। এর পাশাপাশি মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় কয়েকদিন ধরেই মহাসড়কটিতে দীর্ঘ যানজট দেখা দিচ্ছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে।
ঢাকা থেকে আসা একটি ট্রাকের চালক জানান, ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ভালোভাবেই আসি। সেতু পার হওয়ার পর সেতুর পশ্চিম মহাসড়কে যানজটে আটকে যাই। রাত একটা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এখনো আটকে আছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়া নলকা সেতু পার হতে ৫০ মিটার দূর থেকেই গতি কমিয়ে দিচ্ছেন যানবাহনের চালকরা। ধীরগতিতে সেতু পার করতে হয় চালকদের। এসব কারণে সেতুর উভয় প্রান্তে সব সময় শত শত যানবাহন আটকে থাকে। একই সঙ্গে মহাসড়কটির বেশ কয়েকটি স্থানে উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় যানবাহনের ধীরগতির কারণে কিছুক্ষণ পরপর দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে শুরু হয়ে হাঁটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকায় বিস্তৃত হচ্ছে।