কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘির পাড় এলাকায় একটি পূজামণ্ডপে হনুমানের কোলে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার অভিযোগে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল ছোঁড়ে। এতে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার (১৩ অক্টেবর) বেলা ১২ টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড়ের একটি দুর্গাপূজার মণ্ডপে হনুমান মূর্তির কোলে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে বুধবার সকাল থেকে বিক্ষুব্ধ মানুষ নানুয়ার দিঘিরপাড়ে জড়ো হয়ে মিছিল করেন।
সূত্র আরও জানায়, ওই এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে দুটি মণ্ডপে ভাঙচুর চালিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে পাঁচজন সাধারণ মানুষ আহত হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, কে বা কারা গোপনে, ছদ্মবেশে মন্দিরে ঢুকে প্রতিমার পায়ের কাছে কোরান শরীফ রেখে ছবি তুলে সেটাকে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার ইস্যু করে দুর্গা পূজা মণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুর করেছে।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, আমরা পবিত্র কোরআন শরীফের মর্যাদা বুঝি। যে যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা আমাদের বলেছেন, পূজা বন্ধ রাখতে। আমরা তাদের পূজা চালিয়ে যেতে বলেছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ইসলামেও কারও ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ার বিধান নেই।