করোনামুক্ত হওয়ার পর গত চার মাস ধরে গুলশানের বাসায় ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার বিকালে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।
এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক ডা. আরিফ মাহমুদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা টাইমসকে জানান, করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর ফলোআপ করাতে হাসপাতালে নেওয়া হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।
যদিও হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি নিয়ে শায়রুল বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো চেয়ারপারসনের চিকিৎসকরা কিছু জানাননি। জানালে আপনাদের বলতে পারবো।
এর আগে এভারকেয়ার হাসাপাতালের অ্যাডমিশন বিভাগ থেকে খালেদা জিয়ার জন্য ভিআইপি ওয়ার্ডের একটি বেড প্রস্তুত করা হয়।
হাসপাতালে নেয়ার পর খালেদা জিয়ার চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ‘বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছেন খালেদা জিয়া। শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বেশি কিছুটা। সে জন্য মেডিক্যাল চেকআপের জন্য ম্যাডামকে বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।’
জাহিদ হোসেন জানান, সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড তার সব কিছু পর্যালোচনা করবেন। বোর্ড তাকে দেখবেন, এরপর তার শারীরিক সর্বশেষ অবস্থা জানানো হবে।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুরুতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলে বিএনপি চেয়ারপারসনের।
১৫ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করানো হয় খালেদা জিয়ার। এরপর ফিরিয়ে আনা হয় গুলশানের বাসভবনে। অবস্থার অবনতি হলে ২৭ এপ্রিল একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপি প্রধানকে।
৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বিএনপি থেকে খালেদা জিয়ার করোনামুক্তির খবর দেওয়া হয় ৯ মে।
তবে সিসিইউতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়। এর ১৬ দিন পর বাসায় ফেরেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।