পাভলোপেট্রি: ৫০০০ বছরেরও অনেক আগে জলের তলায় ডুবে গিয়েছিল গ্রিসের এই শহরটি। এই শহরটির সঠিক নাম এখনও পর্যন্ত কেউ বলতে পারেননি। জলের নীচে শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার হয় ১৯৬৭ সালে।
টিটিকাকা হ্রদের তলায় মন্দির: দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে অবস্থিত টিটিকাকা হ্রদের তলায় প্রায় ২০০ মিটার উঁচু একটি মন্দিরের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা একটি ডুবে যাওয়া রাস্তার খোঁজ করতে করতে এই মন্দিরটির হদিস পান। কিন্তু এটি কবে নাগাদ তৈরি হয়েছিল, কে বানিয়েছিলেন কিংবা কী করেই বা হ্রদের তলায় চলে গেল, অনেক অনুসন্ধান চালিয়েও সেটার কোনও আঁচ পাওয়া যায়নি।
ইওনাগানি মনুমেন্ট: ১৯৮৬ সালে জাপানে সমুদ্রের তলায় বিশাল এলাকা জুড়ে পিরামিড আকৃতির একটি পাহাড়ের সন্ধান পাওয়া যায়। মাসাকি কিমুরা নামে এক অধ্যাপক জানান, ২০০০ থেকে ৩০০০ সাল আগে এখানে একটি জনবহুল শহর ছিল।
পোর্ট রয়্যাল: জলদস্যুদের ঘাঁটি হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিল জামাইকার এই শহরটি। ১৬৯২ সালে এক ভয়ানক ভূমিকম্পের ফলে পুরো শহরটাই ক্যারিবিয়ানের অতলে হারিয়ে যায়।
দ্বারকা: ২০০০ সালে গুজরাতের এই শহরটি আরব সাগরের নীচে প্রথম নজরে পড়ে কয়েক জন অনুসন্ধানকারীর। তার পরেই এই শহরটি নিয়ে হইহই কাণ্ড। কিন্তু এই শহরটি জলের নীচে কবে এবং কেনই বা ডুবে গিয়েছিল তার কোনও স্পষ্ট কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
লায়ন সিটি: মাত্র ৬০ বছর হল চিনের এই শহরটি ডুবে গিয়েছে। ১৯৫৯ সালে চিনা সরকার হাইড্রোইলেক্ট্রিক বাঁধ বানান জিনান নদীর উপরে। বিজ্ঞানীদের মতে, ওই বাঁধের ফলেই বন্যার জল প্রবল বেগে ঢুকতে শুরু করেছিল ওই শহরটিতে। এবং সেই জলেই তলিয়ে যায় জনবহুল ওই শহরটি।
হেরাক্লেওন বা থনিস: সব চেয়ে পুরনো শহর। প্রাচীন মিশরের প্রধান বন্দর ছিল এই শহরটি। বহু যুগ আগে নীলনদের তীরে এটি গড়ে উঠেছিল। সমুদ্রের জল বাড়তে বাড়তে এক সময় জলের নীচে তলিয়ে যায় শহরটি। ২০০০ সালে শহরটির বেশি কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়।
ভিলা এপিকুয়েন: ১৯৭০ সালেও কমপক্ষে ৫০০০ জন অধিবাসী বসবাস করতেন আর্জেন্তিনার এই শহরে। আচমকাই শহর লাগোয়া হ্রদের জল হু হু করে বাড়তে শুরু করে। বিপদসীমা পেরিয়ে যেতে বেশিক্ষণ লাগেনি। তার পরেই জমজমাট এই শহরটি ধীরে ধীরে জলের তলায় ডুবে যায়।
গোটা বিশ্ব জুড়ে এই রকম আরও কত শহর যে এখনও জলের তলায় ডুবে আছে, তাদের অস্তিত্ব টের না পাওয়া অবধি হলপ করে কিছুই বলা যাবে না।