বরিশালে ১৩ তম মৃৎশিল্পী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৩ জনকে সম্মননা ক্রেস্ট, নগদ পাচ হাজার টাকা ও বস্ত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ-এমপি।
আয়োজনে আজীবন ক্যাটাগরিতে বরিশালের গৈলা গ্রামের জয়দেব পাল কে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মৃৎশিল্প সম্মাননা ও মাদারীপুরের কালকিনী উপজেলার ডাসার গ্রামের উমা রানী বিশ্বাস কে শিল্পী চিত্ত হালদার সম্মাননাসহ নগদ দশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৩ জনকে সম্মননা ক্রেস্ট, নগদ পাচ হাজার টাকা ও বস্ত্র প্রদান করা হয়।
এছাড়া এই আয়োজন উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় ১৬ চিত্রশিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়। সংগীত ও নৃত্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া আয়োজনে নকশী পিঠার ছাচের প্রদর্শনী করা হয়।
সম্মেলনে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও রাজশাহী, নওঁগা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও রাজবাড়ি থেকে প্রায় দুইশত মৃৎশিল্পী অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ-এমপি বলেছেন, মৃৎশিল্প আমার দেশের ঐতিহ্য, এক বাচিয়ে রাখতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে, তাহলে যেমন পরিবেশ বাচবে তেমনি মৃৎশিল্পের সাথে জরিত হাজারো মানুষ বাচবে।
আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লোক কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ, বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার,শিল্পানুরাগী ময়নুল আবেদিন, সনাক বরিশালের সভাপতি শাহ সাজেদা ও মৃৎশিল্পী সম্মেলন ও সন্মাননা প্রদান সংগঠনের আহবায়ক সুশান্ত ঘোষ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা মৃৎ উপকরনের আধুনিকতার প্রতি জোর দিয়ে মৃৎশিল্পীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়ার দাবি তোলেন। পাশাপাশি মৃৎশিল্পীদের পণ্য বাজারজাত করনে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার হাত বারিয়ে দেয়ার আহবান জানান।
এ সময় বক্তারা বলেন,এই শিল্পের কাচামাল আমার দেশের মাটি। এ ছাড়াও এই শিল্পের সাথে দক্ষ একদল সম্প্রদায় রয়েছে। সুতরাং এই শিল্পের ভবিষ্যত উজ্জল থাকার কথা থাকলেও এর সাথে জড়িত হাজারো মানুষ কোনভাবে টিকে আছে, নতুন করে কেউ এই পেশায় আসতে চাইছে না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মৃৎশিল্পীরা জানান, করোনাকালে তারা কোন সহযোগিতা পাননি। বরং আপদকালীন ওই সময়ে বহু শ্রমিককে ছাটাই করতে হয়েছে তাদের।