গ্রাহকের শত শত কোটি টাকা নিয়ে ডুবতে বসা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য একটি অন্তবর্তীকালীন বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উচ্চ আদালত।
একজন করে সাবেক বিচারপতি, সচিব, চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট ও আইনজীবীর সমন্বয়ে এই বোর্ড করা হবে। এ বিষয়ে আগামীকাল বুধবার হাইকোর্ট আদেশ দেবেন।
মঙ্গলবার ইভ্যালির বিষয়ে হাইকোর্টে দাখিল করা জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজের যাবতীয় নথি নিয়ে শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব নথি তলব করেন হাইকোর্ট। ১১ অক্টোবরের মধ্যে জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রারকে আদালতে সব নথি দাখিল করতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ে নথি দাখিল করলে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এজন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিবাদীদের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। ইভ্যালির একজন গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।
গ্রাহক ফরহাদ হোসেন ইভ্যালি থেকে একটি পণ্য কিনেছিলেন। কিন্তু পণ্যটি কেনার পাঁচ মাস পরেও সেটি তিনি হাতে পাননি। এরপর এই গ্রাহক ইভ্যালি অবসায়ন চেয়ে একটি আবেদন করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, ইক্যাব, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, প্রতিযোগিতা কমিশন ও ইভ্যালিসহ ১১ জনকে বিবাদী করা হয় সেই আবেদনে।
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ফ্ল্যাট থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।