অবশেষে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তির অংশ হিসেবে ভারত থেকে এলো সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত ১০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। প্রায় সাড়ে ছয় মাস পর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় তৈরি এসব টিকা পাঠানো হলো।
শনিবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভ্যাকসিনের এই চালান এসে পৌঁছে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চিফ এক্সকিউটিভ অফিসার (সিইও) রাব্বুর রেজা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাব্বুর রেজা বলেন, বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ১০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। সেখান থেকে ভ্যাকসিনগুলো সংরক্ষণের জন্য ওয়্যারহাউজে নিয়ে যাওয়া হবে।
২০২০ সালের ৫ নভেম্বর দেশে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন আনতে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশ সরকার, বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যালস বেক্সিমকো ও ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সিরামের সঙ্গে এই চুক্তি সই করা হয়। পরে ১৩ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত ক্রয়চুক্তি সই করে সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে পাঠানো হয়।
৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কেনার জন্য ৫০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা দেওয়া হয় সেরাম ইনস্টিটিটিউটকে। চুক্তি অনুযায়ী ৫ জানুয়ারি আসে সিরামের কাছ থেকে সরকারের কেনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান। এই চালানে ভ্যাকসিন আসে ৫০ লাখ ডোজ। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশের পাওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু ২১ জানুয়ারি ২০ লাখ চার হাজার ডোজ ভ্যাকসিন এসে পৌঁছায়। সেগুলো অবশ্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে আরও ৩২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছায়।
২৬ মার্চের পর ভ্যাকসিনের আর কোনো চালান ভারত থেকে আসেনি। ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্যাকসিন নিশ্চিতে সেরাম ইনস্টিটিউট রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। দেশটিতে করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নাগরিককে টিকার আওতায় আনায় ভারত আবার টিকা রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়।