লোকটা
লোকটা কেমন
উলুঝুলু
লোকটা কেমন
আলুথালু
খড়ি ওঠা ক্ষীণমাংস শরীর
উলুঝুলু
আলুথালু
লোকটা একটু
ভালোবাসা খুঁজতে বেরিয়েছিল
শুনেছিল প্রজাপতির
ডানায় গচ্ছিত থাকে
ভালোবাসা
দেখেছে
শুধু রামধনু মায়া
উড়তে উড়তে
উড়তে উড়তে
আনমনা ফাঁকির দেশে
লোকটা
বাতাস হতে চেয়েছিল
গন্ধবিধূর সমীরণ
প্রেমিকার বানডাকা চুলে
বিবাগী গোধূলির রাগিণী
‘এলইডি’র রূপচ্ছটায়
তাল তাল মাংস
বল্কলহীন জীবনচুক্তি
শর্তাবলি প্রযোজ্য…
গ্রন্থি
প্রথা ভেঙে
জাল বুনতে থাকো। প্রতিটি
সুতোয় জড়িয়ে থাকে
কিশোরী দিনের স্মৃতি
অসম্ভব জেনেও প্রতিটি সুতোকে
অংশিত করতে
চাও আনন্দে বিষাদে।
ক্রমশ জড়িয়ে পড়
নিজের বেহিসাবী
জালে বেসামাল
জীবনের জটিল গ্রন্থি
বিমনস্ক মুখে
থমকানো মেঘ
এখনি কি ঝরবে
টাপুর টুপুর
অথবা ফিরে যাবে
নিষ্পাপ প্রেমের
সহজিয়া আসরে?
জীবন কথা
দু’চোখ খুবলে নেওয়ার পর
লোকটা রক্তচোষা হয়ে গেল
অনেক মাংস খুবলে নিল
অনেক তরুণী মাংস খুবলে নিল
মনে হচ্ছে তুমি
পূর্ণতা পেলে
দেখা না-দেখার আড়ালে
আমিও জলহারা নদীতে
পচনধরা মাংস খন্ডগুলি
সযত্নে আগলে রাখি
ফুল ফুল মেয়েটি
অন্ধকারে রঙিন মেয়েটি
কুঞ্জপথে বিষণ্ণ
উষ্ণতায় তোমাকে ধরে রাখি
সকালের খোলামেলা রোদ্দুরে
কিছু জীবনকথাও লেখা খাকে।
মায়াশূন্যে
তুমি নও
তোমার সাজানো কথা
গুলি শুয়ে
থাকে পাশে
সযত্নে শব্দগুলি অতিক্রম
করে পৌঁছে
যেতে চাই
তোমার সুগন্ধি বাহুমূলে।
পড়ে থাকে যাপনের
আবর্জনা অবতল শোকে
রাতচোয়ানো শিশিরে
খেয়ালি প্রজাপতি মদির
চিত্রমালা এঁকে যায় অনন্তে
রাত্রির আকাশ
থেকে খসে পড়ে
শ্রবণা বিশাখা
অবয়বহীন
ধীরে ধীরে জেগে ওঠো রূপে
স্তব্ধতার মায়াশূন্যে।
বিষাদজনিত
আমার ব্যক্তিগত বাগানে
ফুটেছে
ফুল—অবিরাম
এটা গোলাপ
এটা ভালবাসিবার
এটা জবা
পূজার জন্যে
মায়ের পায়ে
অবিশ্বাসী হাওয়ায়
সমূহ বকুল ঝরে যায়
এগুলি তুলে নেব আঁজলা
ভরে আমার বকুলের জন্যে
মল্লিকা মালতী সব
ম্লান হয়ে যাবে।
ধরণীর ফুলগুলি
শুকিয়ে যায়
শানবাঁধানো রোদ্দুরে
জীর্ণ পাতা অঝোরে
কাঁদছে কোলাহলের শূন্যতায়
হাওয়ায় আমিষ গন্ধ
বাতাসের অশুভ শব্দ
বিষাদের বয়স বাড়ছে…
নিলাজ যূথচারিতা
স্তব্ধবাক পবিত্রতা
নিরালম্ব।
নিলাজ স্তাবকতায়
আপোশকামিতা
কালো আলোয়ান গায়ে জড়িয়ে
কোদালে মেঘেরা তাড়া করছে
ঝরে পড়ে হাজার হাজার
রক্তচোষা ছারপোকা
ছেঁড়া তাঁবুর বাসা
অ-সুর ভাবনা
বোকাদের সহবতে
কিছু কামার্ত শব্দের যূথচারিতা…