রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে যুক্ত হলো জাতিসংঘ। আজ শনিবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। এখন থেকে সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেবে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গতি আনতে কাজ করবে।
শনিবার দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর চুক্তিতে সই করে। বিষয়টি জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন।
এই চুক্তির ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভাসানচরকেন্দ্রিক সব ধরনের দূরত্ব দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চুক্তির আলোকে জাতিসংঘ ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
চুক্তির পর বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর বলেছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন টেকসই করতে কাজ করবে জাতিসংঘ।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সহযোগিতায় জাতিসংঘ যেন যথেষ্ট আন্তরিক হয় সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
ভাসানচরে ইতিমধ্যে প্রায় ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা নেওয়া হয়েছে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে নেওয়ার টার্গেট সরকারের।
গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নিতে থাকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় দলে দলে রোহিঙ্গারা এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। এতে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক এখন কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোতে অবস্থান করছে।