মূল একাদশের গুরুত্বপূর্ণ তিন ক্রিকেটার ছাড়াই ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ‘বাংলাদেশ একাদশ’ নামের দল নিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ-সাকিব-মোস্তাফিজদের ছাড়াই ৬০ রানে ওমান ‘এ’ দলকে হারিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও সবাই ভালো করতে পারেনি। সৌম্য-মুশফিক-আফিফরা ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। বোলিংয়ে সৌম্য-মেহেদী-শরিফুল বেশ খরুচে ছিলেন। তারপরও ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতিটা যথেষ্ট ভালোই বলা চলে।
শুক্রবার আল-আমিরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে। রাতে ওমানের বোলারদের পাড়ার বোলার বানিয়ে ছেড়েছেন সোহান-নাঈম-লিটনরা। এ দিন নাঈম-লিটন হাফসেঞ্চুরি এবং সোহান ও শামীমের ঝড়ো ইনিংসে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ২০৮ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করতে পারে ওমান ‘এ’ দল।
ওমানের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন শোয়াইব খান। মুশফিকের থ্রোতে রান আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন তিনি। এছাড়া রফিউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৩১ রানের ইনিংস।
ওমানের ব্যাটসম্যানরা থিতু হতে না পারলেও বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে সজোরেই ব্যাট চালিয়েছেন। শরিফুল-মেহেদী-সৌম্যকে সাতবার উড়িয়ে মেরেছেন ওমানের ব্যাটসম্যানরা।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শরিফুলই। ৩ উইকেট নিতে তার খরচ হয়েছে ৩০ রান। এছাড়া সাইফউদ্দিন ১৭ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন। সৌম্য সরকার ৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। আফিফ-মেহেদী-নাসুম একটি করে উইকেট নেন। এদের মধ্যে মেহেদী ছিলেন ব্যয়বহুল। তার এক উইকেট শিকার করতে খরচ হয়েছে ২৮ রান।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে কম-বেশি সবাই রান পেলেও দলের গুরুত্বপূর্ণ তিন ক্রিকেটার সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন রান পাননি। আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ দল শুরুটা দারুন করেছিল। মাঝে কিছুটা ছন্দপতন হলেও নুরুল হাসান ও শামীমের ব্যাটে বিপর্যয়টা কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ একাদশ।
লিটন দাসের অধিনায়কত্বে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ একাদশ। দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাটে দারুণভাবে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। ৬৮ বলে দুই ওপেনার ১০২ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। কিন্তু হুট করেই সাময় শ্রীভাস্তার লেগ স্পিন সোজা খেলতে গিয়ে রিটার্ন ক্যাচ দেন ব্যাটসম্যান। বলে অনেক গতি থাকলেও সেই বলটি সহজেই তালুবন্দি করেন শ্রীভাস্তা। আউট হওয়ার আগে ৩৩ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম।
সোহান-শামীমের ঝড় ওঠার আগে নাঈম খেলেছেন দারুন ইনিংস। ৫৩ বলে ৬৩ রান করে স্বেচ্ছায় অবসরে যান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৩ চার ও ২ ছক্কায় নাঈম নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। ৬ নম্বরে নেমে নুরুল হাসান সোহানও অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। ১৫ বলে ৭ ছক্কায় সোহান ৪৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। নাঈমের সাজঘরে ফেরার পর ক্রিজে নামেন যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন। ১০ বলে ২ ছয় ও ১ চারে শামীম ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ওমানের বোলারদের মধ্যে আমির কলিম ও সাময় শ্রীভাস্তা দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।