নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৭ রোহিঙ্গাকে স্বর্ণদ্বীপ থেকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের ভাসানচর থানায় আনা হয়।
আটকদের মধ্যে ২৫ জন শিশু, ১০ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী রয়েছেন। আটকদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করে ট্রিপলআরসি কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রিপলআরসি পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেবে।
আটকরা হলেন- ভাসানচর আশ্রয়নের ২৫ নম্বর ক্লাস্টারের আব্দুল হামিদ, শাহানা, মহছেনা, জান্নাত আরা, ইসমত আরা, সাদিয়া আক্তার, শওকত আরা, ২৪ নম্বর ক্লাস্টারের রহমত উল্যা, রোজিনা, নুর বাহার, নুর বানু, কবির আহাম্মদ, সোনা আহাম্মদ, ওসমান, ৬৫ নম্বর ক্লাস্টারের নুরু বেগম, আনছার উল্যা, সেনোয়ারা, মিনু আরা, ৪৭ নম্বর ক্লাস্টারের আমির হোসেন, নবীন সোনা, সৈয়দ নুর, পারভিন আক্তার, তাসমিন আরা, সামছু আলম, ৮ নম্বর ক্লাস্টারের ইমমান হোসেন মাহমুদ, নয়ন, আছমা, তাসকিন, পারভিন আক্তার, নজরুল ইসলাম, আয়েশা বেগম, আব্দুল্লাহ, আব্দুর রহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস, ৫০ নম্বর ক্লাস্টারের জাহিদ হোসেন, নুরু বেগম, হামিদ হোসেন, কামাল হোসেন, আছমা বিবি, রিশমা বিবি, রূপবাহান, ২৭ নম্বর ক্লাস্টারের জয়নাল, মর্জিনা, ৪৮ নম্বর ক্লাস্টারের ইয়াছিন, হালিমা বেগম, ইয়াছমিন আক্তার ও ৬০ নম্বর ক্লাস্টারের মোহাম্মদ আলী।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার রাতের কোনো এক সময় দালাল চক্রের মাধ্যমে পালানোর উদ্দেশ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ থেকে একটি বোট যোগে বের হয়ে যায় ৪৭ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু। সোমবার ভোরের কোনো এক সময় কৌশলে বোটের মাঝি তাদের স্বর্ণদ্বীপে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। দুদিন ধরে সেখানে অবস্থান করার পর রোহিঙ্গারা বিষয়টি আশ্রয়ণের তাদের আত্মীয়দের জানায়। পরে তারা থানায় জানান।
জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি জানার পর মঙ্গলবার রাতে তাদের উদ্ধারে স্বর্ণদ্বীপে যায় কোস্টগার্ড। কিন্তু রাতে জোয়ার না থাকায় কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সময় লাগে। পরে গভীর রাতে তাদের স্বর্ণদ্বীপ থেকে উদ্ধারের পর আটক দেখিয়ে বুধবার ভাসানচর থানায় হস্তান্তর করা হয়।