তৈরি পোশাক খাতের স্থগিত ও বাতিল হওয়া ক্রয়াদেশ ফিরে আসছে। এতে বাড়ছে রফতানি। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাস আগস্ট ও সেপ্টেম্বরেও ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ রফতানি থেকে আয় করেছে ৪১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ২০২০ সালের একই সময়ে রফতানি আয় হয়েছিল ৩০১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সেপ্টেম্বরে রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮ শতাংশ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য খুলতে শুরু করেছে। ফলে বাতিল ও স্থগিত হওয়া রফতানি আদেশ ফিরতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নতুন অর্থবছরের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রথম তিন মাসে রফতানি আয় হয়েছে এক হাজার ১০২ কোটি ২০ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ৯৮৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে (ফার্স্ট কোয়ার্টার) রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
একক মাস হিসাবে আগস্টে পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ২৯৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার, যা গত বছরের আগস্ট মাসের চেয়ে ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। এর আগের মাস অর্থাৎ নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রফতানি আয় হয়েছে ৩৯১ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রথম মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি হয়েছে। আর আগের বছরের একই সময়ে চেয়ে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, দেশে রফতানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। করোনার কারণে গত মার্চ থেকে এ খাতের রফতানি কমতে শুরু করে, এপ্রিলে পোশাক রফতানিতে ধস নামে। মে মাসেও তা অব্যাহত থাকে। তবে জুন থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এর ধারাবাহিকতা জুলাই ও আগস্ট এমনকি সেপ্টেম্বরেও অব্যাহত রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, একদিকে পুরনো অর্ডার ফিরে এসেছে, অন্যদিকে মহামারি করোনা বিশ্বজুড়েই কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এর ফলে রফতানি আয় বেড়েছে।
(সূত্র বাংলা ট্রিবিউন)