চাকরির প্রলোভন ও প্রতারণামূলক বিয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ ও অর্থ-স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাতের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার (১ অক্টোবর) রূপচাঁদ সরদার নামে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।তার বাড়ি পাবনার আমিরপুরের কাপাসকান্দা গ্রামে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) মিডিয়া সেল থেকে রোববার (৩ অক্টোবর) বিকেলে জানানো হয়, ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও প্রতারণামূলক বিয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে রূপচাঁদ। পরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নগদ ৮ লাখ টাকা এবং ৪ ভরি ২ আনা স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাত করে।
বিএমপির মিডিয়া সেল আরও জানায়, গত ১ অক্টোবর মামলা দায়েরের পর উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জাকির হোসেন মজুমদারের নির্দেশে আসামিকে গ্রেপ্তার, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারের জন্য অভিযান চালায় বরিশাল বিমানবন্দর থানার পুলিশ। এ সময় আসামি রূপচাঁদ সরদারকে নিজ বাড়ি পাবনার আমিনপুর থানার কাপাসকান্দা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় রুপচাঁদের ঘর থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাত করা নগদ ২ লাখ টাকা এবং স্বর্ণের ২টি চেইন, ১টি আংটি ও ১ জোড়া কানবালা জব্দ করা হয়। যার মোট ওজন ১ ভরি ৭ আনা।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, ভুয়া বিয়ে ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মামলার বাদীর কাছ থেকে নেওয়া টাকা এবং স্বর্ণালংকারের অংশ এগুলো। বাকি টাকা ও স্বর্ণালংকার খরচ এবং বিক্রি করে ফেলেছে।
পুলিশ জানায়, আসামি পেশাদার প্রতারক। বিভিন্ন নম্বরে ফোন করে টার্গেট অনুসন্ধান করে। যখনই কোনো অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, সংসারে অশান্তি বিরাজমান কিংবা বিদেশ ফেরত নারীকে পায়, তাকে বিয়ে, চাকরি বা জমি কিনে দেওয়াসহ বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখায়। এ উদ্দেশে সে আলাদা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে একই সঙ্গে অনেক নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতো।
তারা আরও জানায়, যখন কোনো নারী তার ফাঁদে পা দেয়, তখন তাকে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে বিয়ে করে। এরপর টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যায় রূপচাঁদ।