বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সাত দিন ধরে নিখোঁজ ৩২ জেলের মধ্যে ১২ জেলের সন্ধান পাওয়া গেলেও এফবি আব্দুল্লাহ নামের ট্রলারসহ ২০ জেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ৪টা নাগাদ ১২ জেলেসহ এফবি মায়ের দোয়া নামক ট্রলার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্যঘাটে পৌঁছাবে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা ট্রলার মালিক সমিতি। ট্রলার মালিক ও জেলেদের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায়।
এফবি মায়ের দোয়া নামক ট্রলারে ছিলেন ১২ জন জেলে। এর মালিক আবদুর রহমান। এফবি আবদুল্লাহ নামক ট্রলারে ছিলেন ২০ জেলে। যার মালিকের নাম মো. লিটন মাহমুদ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্যঘাট থেকে অন্যান্য ট্রলারের সঙ্গে মাছ ধরার জন্য সাগরে রওনা করে ট্রলার ২টি। কিন্তু হঠাৎ তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় মালিক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ট্রলার মালিক, মালিক সমিতি ও কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয় এ বিষয়ে। ছয়দিন পরে এফবি মায়ের দোয়া নামক ট্রলারের সন্ধান মেলে। তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল বলে প্রাথমিক তথ্য জানান।
ট্রলারের সকল যাত্রী (১২ জন) সুস্থ আছেন বলে জেলা ট্রলার মভলিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধারকৃত জেলেরা হচ্ছেন, এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের পাথরঘাটা উপজেলার মঠেরখাল এলাকার নুর মোহাম্মাদ মিস্ত্রির ছেলে শাহজাহান, ছত্তার মোল্লার ছেলে আব্দুর রশিদ, খালেক মিস্ত্রির ছেলে মাসুদ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আমির হোসেন, আব্দুর রহমানের ছেলে মিরাজ, নুরু মিয়ার ছেলে ছগির, তাফালবাড়ি এলাকার খলিল গোলদারের ছেলে ফারুক, আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুস ছত্তার, আব্দুল লতিফের ছেলে নাসির, জ্ঞানপাড়া এলাকার আব্দুল গনির ছেলে খলিল, কুদ্দুসের ছেলে আবুল কালাম ও বড় টেংরা এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে ফুল মিয়া।
অপরদিকে, এফবি আবদুল্লাহ নামক ট্রলারের ২০ জেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। যাদের মধ্যে এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলারের খোকন মাঝি, হুমায়ুন, শাহজাহান ও রাসেলের নাম জানা গেছে।
কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন ও সুন্দরবনের দুবলাচরের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আরটিভি নিউজকে বলেন, তাদের টহল বোট অনুসন্ধান করছে। কোনো খবর পেলে তাৎক্ষণিক জানানো হবে।