বাগেরহাটের রামপালে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো দুটি বাল্যবিবাহ। শুক্রবার দুপুরে গোপনে অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের বিবাহ দিতে তৎপরতা শুরু করেন। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাল্যবিবাহের বিষয়টি রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন জানতে পেরে দ্রুত ওই বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন।
জানা যায়, উপজেলার পেড়িখালি ইউনিয়নের সিংগারবুনিয়া গ্রামের রুহুল আমীন হাওলাদারের কন্যা পেড়িখালি পি উ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তাসলিম লামিয়া (১৫) ও একই ইউনিয়নের জিগির মোল্লা গ্রামের শেখ ফরিদের কন্যা পেড়িখালি দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়াম খাতুন (১৫) এর বাল্যবিবাহের গোপনীয়ভাবে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছিলেন। পরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়।
এসময় ওই অভিভাবকদের স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিবাহ দিতে বারণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন। তিনি আরো বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জনপ্রতিনিধিদেরও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি করোনায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। তবে অবিভাবকরা তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে বাল্যবিবাহ দেবেন না শর্তে ওই শিক্ষার্থীর বাবাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।