‘চন্দন রোশনি’ পর্ব – দশ

মোহিত কামাল
মোহিত কামাল
8 মিনিটে পড়ুন

পর্ব – দশ: উন্নত ছায়াশির

চন্দনা বলল, ‘এভাবে চাকরি হবে না। অফিসে অফিসে চাকুরির জন্য ঘুরলে চাকরি মিলবে না। লোকে হ্যাংলা ভাবছে। সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। চাকরি পাওয়ার যুতসই কোনো উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
‘যুতসই উপায়টা কী হতে পারে? তা তো জানা নেই।’ বলল উর্বশী।
‘শূন্য থেকে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়াতে হবে। ধ্বংসের ইটসুরকি সরিয়ে এগোতে হবে।’ বলল চন্দনা।
‘ধ্বংসের কথা বলছিস কেন? আমরা তো নতুন যাত্রা শুরু করেছি। মাথা উঁচিয়ে হাঁটব। এগোব। ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড সেন্টার বা ফ্রিডম টাওয়ার’ নাম দিয়ে তেরো বছর পর ধ্বংসস্তূপের ওপর আবার দাঁড়িয়ে গেছে ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার’। একশ চার তলার ১৭৭৬ ফিট উচ্চতার উন্নত শির দেখে মনেই হয় না আত্মঘাতী বিমান আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল পুরোনো টুইন টাওয়ার। নিউইয়র্কে ‘গ্রাউন্ড জিরো’র পাশেই নতুন উন্নত শিরটা দেখছিস না! কেমন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে- ধ্বংসের পরও তো সৃষ্টি আছে, তাই না?’
উর্বশীর কথা শুনে চন্দনা বলল, ‘আমার জীবন শূন্য। ঠিক আছে। তোর জীবন কি শূন্য ছিল? পূর্ণ জীবনের টাওয়ার থেকে আকস্মিক তোর পতন ঘটেছে মাইনাস শূন্য উচ্চতায়। বুঝিস না সে কথা? জীবনযুদ্ধে টুইন টাওয়ারের ওয়ান টাওয়ার তো তোর ধ্বংস হয়ে গেছে।’
হো হো করে হেসে উঠল উর্বশী। পুরোনো বন্ধুকে হঠাৎ সামনে পেলে যেভাবে নেচে ওঠে মন, যেভাবে গগনফাটা চিৎকার ছড়িয়ে যায় চারপাশে, সেভাবেই উচ্চকিত হাসির দাপুটে তরঙ্গ ছড়িয়ে যেতে লাগল। গগন-বিদীর্ণ করা সেই হাসির ঢেউ সামনে উঁচু করে ধরল উন্নত এক ছায়াশির। সেই শির স্পর্শ করে আছে আকাশ। ফ্রিডম টাওয়ারকে মনে হতে লাগল শিশুটাওয়ার। মুহূর্তেই আকাশের চূড়ায় উঠে গেল উর্বশী। চূড়া থেকে চিৎকার করে বলছে, ‘গাধা! পতন ঘটল কখন আমার? আমি তো উঠে গেছি আরও উপরে, আরও উন্নত মম শির আমাকে তুলে রেখেছে আকাশে।’
‘এটা তোর কল্পলোকের ছায়াশির। বাস্তবের দিকে তাকা। চোখ খুলে দেখ, প্রতিটি ইটের গাঁথুনিতে রয়েছে শক্ত আর ধারাল কাঁটা। কাঁটা মাড়িয়ে সমতলে বা অন্ধকারে গলি বেয়ে হাঁটতে হবে আমাদের। তার প্রথম ধাক্কা খেয়েছি নিজেদের ফ্ল্যাটের সিঁড়িতে। আরও প্রমাণ চাস অন্ধকার অচেনা চোরাগলির?’
চন্দনার জোরালো কথার দাপটে উন্নতশির অবনত হলো না ঠিকই, মনে মনে বুঝে নিলো ভুল বলছে না চন্দনা। নিজেকে অরক্ষিত না ভাবলেও চারপাশের কুকুরশ্রেণির মানুষজন ভাবছে অরক্ষিতই হয়ে পড়েছে ও। যে কোনো মুহূর্তে হানা দিতে কার্পণ্য করবে না দিশেহারা কুকুরদল। ভাবনার নতুন ঘূর্ণির তলে পাক খেতে লাগল ও। পাক খেতে খেতেও বোধ হারিয়ে ফেলল না, বরং চেতনার আঁধার ঘূর্ণিতেও জ্বলে উঠল রোদপ্রহর, চারপাশে মুদ্রিত হয়ে গেল আলোর নিশানা। ঘূর্ণিতে ভাসতে থাকা দুর্ভাবনার ধুলোগুলো সেই আলোকছটায় মুহূর্তেই মিলিয়ে গেল, চোখের সামনে প্রত্যয়ী মনোভাবের জোয়ার এলো। দৃপ্ত কণ্ঠে উর্বশী বলল, ‘আগে লক্ষ্য স্থির কর। চাকরি চাই। এটাই প্রথম টার্গেট। এটার জন্য ইচ্ছার কি ঘাটতি আছে তোর? আমার নেই। আশা করি সহযোদ্ধা হিসেবে তোরও থাকা উচিত নয়।’
উর্বশীর বুলেটের মতো তেজি প্রতিটি শব্দ আঘাত হানল চন্দনার দোদুল্যমান ভাবনার চাকায়। চাকা থেমে গেল না, ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল না, বরং দ্রুত গতিতে ছুটে চলার বেগ সঞ্চারিত হলো জীবনচাকায়। চন্দনা সেই গতিময় যাত্রায় বলে বসল, ‘কেবল আশা করলে হবে না। সময়সীমা নির্ধারণ করে নিতে হবে; কত দিনের মধ্যে চাকরি চাই ভেবে নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কতটুকু ছাড় দেব, কতটুকু দেব না, ভেবে নিতে হবে। সীমানার মধ্যে থেকেই জয় করতে হবে জীবনযুদ্ধ।’
হা! হা! হা! উত্তাল হাসিতে গড়াগড়ি খেতে খেতে উর্বশী বলল, ‘বাহ! তুই তো দেখছি বইয়ের ভাষায় কথা বলছিস। যে কোনো লক্ষ্যজয়ের প্রাথমিক ধাপের কথা বলছিস। ভালো। তবে শোন, চাকরি না পেলে কীভাবে মানুষকে চাকরি দেওয়া যায় সে ভাবনাও রাখতে হবে মাথায়?’
‘না। সেটা ভাবতে চাই না। চাকরি না-পাবার ভাবনা হচ্ছে দুর্বলচিত্তের প্রকাশ। মনের দুর্বলতা থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। তবে চয়েজের জন্য সতর্ক হতে হবে।’ বলল চন্দনা।
‘এটাও বইয়ের ভাষা। তবে দুর্বল নই আমরা, সবলই। হয় চাকরি পাব, নয় দেব। দুটো বিকল্প চিন্তা মাথায় রেখে এগোতে চাই।’
‘ইতিমধ্যে অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে চাকরির অফার পেয়েছি। অফিসটাও বেশ স্ট্যান্ডার্ড। তবু পেয়েছি বা পাব কিংবা ওখানে যে স্থায়ীভাবে চাকরি করব সে রকম ভরসা পাচ্ছি না।’
চন্দনার কথা শুনে প্রায় চমকে উঠে উর্বশী প্রশ্ন করল, ‘বলিস কি? দ্বিমুখী কথা বলছিস কেন?’
‘না, দ্বিমুখী নয়। সিদ্ধান্তে একমুখী। আপাতত কথার দুটো মুখ তুই দেখতে পাচ্ছিস। আমি দেখছি একটা মুখ।’
‘সে কিরে! সেটা আবার কেমন মুখ?’
‘সে মুখে আছে বড় একটা হা। এক হাতে গিলে ফেলবে এক দানব। সে-রকমই আভাস পেয়েছি।’
‘বুঝলাম না।’
উর্বশীর কথার পিঠে পাল্টা কথা বলল চন্দনা, ‘ওটা হচ্ছে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সরাসরি হ্যাঁ। সরাসরি বলল, চাকরি হবে তবে…’
‘ওরে বাবা! আঁধারে ওত পেতে থাকা শয়তান দুটোর চেয়ে এ আক্রমণকারী তো দেখছি আরও ভয়ঙ্কর!’
‘হ্যাঁ। এজন্যই প্রশ্ন করেছি, আরও প্রমাণ চাস অন্ধকার গলির, অদেখা চোরাগলির?’
‘না। আর প্রমাণ চাই না। বুঝে গেছি। তোর হাতে রয়েছে অকাট্য প্রমাণের বিরাট বিরাট সনদ। নতুন ফ্ল্যাটে তো উঠে গেলাম, ভাবছি সামনের মাসের ফ্ল্যাট ভাড়া আর খাবার খরচ জোগাড় হবে কীভাবে?’ প্রশ্ন করল উর্বশী।
‘ছলচাতুরির আশ্রয় নেব। আবেগ নিয়ে হালকা খেলা খেলতে পারলেই ওই টাকা সহজে উঠে যাবে।’ হাসতে হাসতেই বলল চন্দনা।
‘সে কিরে! দুই নম্বরী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছিস? আবেগ নিয়ে খেলতে গেলে দেহের মধ্যে টান খাবি না? আবেগ কি দেহ থেকে আলাদা? দুটোই তো একই সুতোয় গাঁথা। সে কথাই জেনে এসেছি এতদিন।’
‘শোন, আমার একজন আত্মীয় আছেন। শিল্পপতি। তিনিই অ্যাকাউন্ট্যান্ট পদে চাকরির অফার দিয়েছেন। আমি কাছে গেলেই কেমন যেন গদগদ হয়ে যান। তাকে গলিয়ে ফালাফালা করে দিতে পারি। তখন যা বলব, তাই করবে। চাইলে বেতন ছাড়াও প্রতি মাসের ভাড়া-খাওয়ার টাকা জোগাড় করা অসুবিধে হবে না, যতদিন ভালো চাকরি না পাচ্ছি, ততদিন ওই পথ থেকে কুড়িয়ে নেওয়া যাবে চলার খরচ।’
‘না। তোর কথা মানতে পারছি না। পদস্খলনের সুড়ঙ্গ কাটছিস তুই। সুড়ঙ্গ কাটার দরকার কী? ইগো ঝেড়ে মার কাছে থেকে চাইলেই তো পেয়ে যেতে পারি চলার খরচ।’ বলল উর্বশী।
চুপ হয়ে গেল চন্দনা। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, ‘তাহলে তো আর নিজেদের ফ্রিডম থাকবে না। শেকল-শৃঙ্খলে আবার বাধা পড়ব।’
‘তো কী করব?’
উর্বশীর প্রশ্নের জবাবে চন্দনা বলল, ‘এ মাসের টাকাটা আজই ম্যানেজ করতে হবে।’
‘কাল ভেবে দেখব। আজ থাক।’ বলল উর্বশী।
‘না। এটাই তো আমাদের সবচেয়ে বড় নেগেটিভ দিক। সব কিছু কালকের জন্য রেখে দিতে চাই। আজকের কাজ আজই করতে হবে, নইলে সফলতার কোনো পথই খোলা পাবি না আর।’
দমে গেল উর্বশী। চুপ হয়ে গেল ও। চুপ থাকা মানে যদি হয় রাজি হওয়া, তবে তাই-ই হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অদৃশ্য কণারাজির প্রবল ঢেউ আছড়ে পড়ল উর্বশীর চোখে মুখে। কানের পর্দা ফুঁড়ে ঢুকে গেল তীব্র একটা শিস। আট দশমিক পাঁচ রিখটার স্কেলের ধাক্কার মতো কেঁপে উঠেছে পুরো পৃথিবী। চোখে-মুখে ভীতি নিয়ে ও তাকাল চন্দনার দিকে। চন্দনার মুখে লেগে আছে চোরা হাসি। বিরাট ভূকম্পনের আলামত সে টের পেয়েছে বলে মনে হলো না। বরং উর্বশীকে চুপ থাকতে দেখে বলে বসল, ‘গুড! ভেরি গুড! এই তো লক্ষ্মী মেয়ে। রাজি হয়ে গেছিস। বিরোধ নিয়ে সব সময় চলা যায় না। অনেক সময় সহমত না ঘটলে বন্ধুত্ব থাকে না।’
উর্বশীর মুখে কথা ফুটল না, অদৃশ্য কণা রেডিয়েশনের দুর্দান্ত ঝড় কেড়ে নিয়েছে তার মুখের ভাষ- অন্তরে চন্দনার প্রস্তাবে ‘না’ শব্দের খই ফুটলেও, মুখের অভিব্যক্তি দেখে চন্দনা ধরে নিল ‘হ্যঁ-া’র ঢেউ এসেছে। হ্যাঁ-র সঙ্গে অনেক সময় ভীতি মেশানো থাকে- উর্বশীর এ অবস্থাকেও সেই অভিজ্ঞতার আলোকে মেপে নিয়ে মৃদু স্বরে হেসে উঠল চন্দনা…

চলবে…

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
কথাসাহিত্যিক মোহিত কামালের জন্ম ১৯৬০ সালের ০২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম আসাদুল হক এবং মায়ের নাম মাসুদা খাতুন। তাঁর শৈশব-কৈশোর কেটেছে আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম ও খালিশপুর, খুলনায়। বর্তমান নিবাস ধানমন্ডি, ঢাকা। স্ত্রী মাহফুজা আখতার মিলি, সন্তান মাহবুব ময়ূখ রিশাদ, পুত্রবধূ ইফফাত ইসলাম খান রুম্পা ও জিদনি ময়ূখ স্বচ্ছকে নিয়ে তাঁর সংসার। চার ভাই এক বোনের মধ্যে চতুর্থ সন্তান তিনি। তাঁর অ্যাফিডেভিট করা লেখক-নাম মোহিত কামাল। তিনি সম্পাদনা করছেন শুদ্ধ শব্দের নান্দনিক গৃহ, সাহিত্য-সংস্কৃতির মাসিক পত্রিকা শব্দঘর। তাঁর লেখালেখির মুখ্য বিষয় : উপন্যাস ও গল্প; শিশুসাহিত্য রচনার পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণাধর্মী রচনা। লেখকের উড়াল বালক কিশোর উপন্যাসটি স্কলাস্টিকা স্কুলের গ্রেড সেভেনের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে; ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্যও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি (ঝঊছঅঊচ) কর্তৃকও নির্বাচিত হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রকাশিত কথাসাহিত্য ৩৭ (উপন্যাস ২৪, গল্পগ্রন্থ ১৩)। এ ছাড়া কিশোর উপন্যাস (১১টি) ও অন্যান্য গ্রন্থ মিলে বইয়ের সংখ্যা ৫৫। জাতীয় পুরস্কার: কথাসাহিত্যে অবদান রাখার জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (২০১৮), অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার ১৪১৮ বঙ্গাব্দ (২০১২) অর্জন করেছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে অন্যান্য পুরস্কারও; হ্যাঁ (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০২০) উপন্যাসটি পেয়েছে সমরেশ বসু সাহিত্য পুরস্কার (২০২০)। পথভ্রষ্ট ঘূর্ণির কৃষ্ণগহ্বর (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০১৪) উপন্যাসটি পেয়েছে সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার (২০১৪)। সুখপাখি আগুনডানা (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০০৮) উপন্যাসটি পেয়েছে এ-ওয়ান টেলিমিডিয়া স্বাধীনতা অ্যাওয়ার্ড ২০০৮ এবং বেগম রোকেয়া সম্মাননা পদক ২০০৮―সাপ্তাহিক দি নর্থ বেঙ্গল এক্সপ্রেস-প্রদত্ত। না (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০০৯) উপন্যাসটি পেয়েছে স্বাধীনতা সংসদ নববর্ষ পুরস্কার ১৪১৫। চেনা বন্ধু অচেনা পথ (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০১০) উপন্যাসটি পেয়েছে ময়মনসিংহ সংস্কৃতি পুরস্কার ১৪১৬। কিশোর উপন্যাস উড়াল বালক (রোদেলা প্রকাশনী, ২০১২; অনিন্দ্য প্রকাশ, ২০১৬) গ্রন্থটি ২০১২ সালে পেয়েছে এম নুরুল কাদের ফাউন্ডেশন শিশুসাহিত্য পুরস্কার (২০১২)। তিনি মনোচিকিৎসা বিদ্যার একজন অধ্যাপক, সাবেক পরিচালক জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ,ঢাকা
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!