মেরকেলের দলকে হারালো শোলৎজের এসপিডি

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নকে (সিডিইউ) হারিয়ে জয়ী হয়েছে মধ্য বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসপিডি)।

এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শোলৎজ বলেছেন, সরকার গঠনে তার দল ভোটে স্পষ্ট রায় পেয়েছে।

নির্বাচনে এসপিডি পেয়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে আঙ্গেলা মেরকেলের সমর্থনপুষ্ট সিডিইউ ও এর শরিক দল পেয়েছে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। আর ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্রিনস পার্টি।

এছাড়া এফডিপি (১১.৫ শতাংশ), অভিবাসনবিরোধী এএফডি (১০.৫ শতাংশ), বাম দল (৫ শতাংশ) ও অন্যান্য (৮.৫ শতাংশ) ভোট পেয়েছে।

- বিজ্ঞাপন -

সিডিইউ/সিএসইউর চ্যান্সেলর প্রার্থী আরমিন লাশেট সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, খারাপ ফল সত্ত্বেও একটি নতুন সরকার গঠনের জন্য ‘আমরা যতটুকু পারি’ চেষ্টা করে যাব। নির্বাচনের এমন ফলে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি না। আমরা রক্ষণশীলদের নেতৃত্বে একটি সরকার গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাব, কারণ জার্মানদের এখন এমন জোট প্রয়োজন যেটা আমাদের দেশের আধুনিকায়নের জন্য দরকার। ’

আর সবুজ দলের চ্যান্সেলর প্রার্থী আনালেনা বেয়ারবক সমর্থকদের বলেন, গত নির্বাচনের চেয়ে ভোট বাড়লেও তার দল প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পায়নি। আমরা আরও চেয়েছিলাম, আমরা তা পাইনি। এর একটা কারণ প্রচারণার শুরুতে আমরা কিছু ভুল করেছিলাম- আমারও ভুল ছিল।

এদিকে নির্বাচনের এমন ফলাফলে এখন সরকার গঠন করতে হলে একটি জোট গঠন করতে হবে। জোট সরকার গঠনে গ্রিন এবং এফডিপির ভূমিকা হবে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শোলৎজ বলেছেন, সরকার গঠনে তার দল ভোটে স্পষ্ট রায় পেয়েছে।

অন্যদিকে সিডিইউয়ের চ্যান্সেলর প্রার্থী আরমিন লাশেট বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেই জয়ী হওয়া যাবে না। পুরো বিষয়টা এখন ভিন্ন হিসাব।

এর আগে বুথফেরত জরিপে দুই দলই সমান ভোট পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত পূর্বাভাস আসছিল এবং এই ফলাফলই যে শেষ নয় এমন ইঙ্গিত আগেই পাওয়া যাচ্ছিল।

- বিজ্ঞাপন -

নির্বাচনে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান লাভকারী গ্রিন এবং এফডিপি এই দুটি দলের কেউই আলাদা করে চমক না দেখালেও তাদের ভোট একসঙ্গে করলে একটি জোট সরকার গঠনে বড় দুই দলের যে কারো জন্যই সেটি চমক হতে পারে।

তবে এই দুই দলকে জোটবদ্ধ করা বেশ কঠিনই হবে। জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ছোট এই দুই দলই ৩০ বছরের কম বয়সী জার্মান নাগরিকদের পছন্দ।

সূত্র: বিবিসি ও ডয়েচেভেলে

- বিজ্ঞাপন -

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!