তৃতীয় দিনের মত বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেল আর ও ১৮৬ মেট্রিক টন ইলিশ। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তার অংশ হিসেবে তিন দিনে ভারতে গেল ৪৯৮ মেট্রিক টন ইলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় ১৮৬ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে রপ্তানি করে ১২ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
এর আগে গত বুধবার ভারতে গেছে ১০৩ মেট্রিক টন, বৃহস্পতিবার ২০৯ মেট্রিক টন ও শনিবার যাচ্ছে ১৮৬ মেট্রিক টন ইলিশ। এ নিয়ে গত তিন দিনে ভারতে গেল ৪৯৮ মেট্রিক টন ইলিশ।
পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের কাছে প্রিয় হলেও দেশের চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন সময় তা রপ্তানি বন্ধ রাখে বাংলাদেশ সরকার। ২০১২ সালের আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হতো। তবে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০১২ সালের পর রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত বছরও দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। এরপর থেকে আবারও বন্ধ থাকে রপ্তানি।
শার্শা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ হলেও দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার ৪০ মেট্রিক টন করে ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ২০ সেপ্টেম্বর ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ও ২৩ সেপ্টেম্বর ৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে দুই হাজার ৫২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার ইলিশের প্রথম চালানের ১০৩ মেট্রিক টন, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় চালানে ২০৯ মেট্রিক টন ও শনিবার ১৮৬ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ইলিশ রপ্তানি হবে। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সব ইলিশ রপ্তানির নির্দেশনা রয়েছে।
ইলিশ মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অর্পিতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক বিশুদানন্দা আচার্জি বলেন, এবার ভারতে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা হবে। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানিমূল্য ১০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান রপ্তানি করা হচ্ছে। ইলিশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ১১৫টি।