ফেনীতে আলোচিত ব্যবসায়ী কায়সার মাহমুদ হত্যার দায়ে স্ত্রী শাহনাজ নাদিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সাত বছর পর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী নাদিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ বলেন, ‘এই হত্যা মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে স্বামী কায়সারকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন স্ত্রী নাদিয়া। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ ধরনের রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে কেউ অপরাধ করতে সাহস করবে না।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান কবির বেঙ্গল জানান, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নির্ভর রায় ঘোষণা করা হয়েছে। যথাযথ রায় পেতে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
কায়সার মাহমুদের ভগ্নিপতি সাইফ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় পাইনি। এ রায়ে কায়সার মাহমুদের পরিবার আশাহত হয়েছে। নাদিয়া আত্মস্বীকৃত খুনী। তার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল।’
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল রাতে স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন সড়কের ভূঞা বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে নির্জন স্থানে খুন হন কায়সার মাহমুদ। এ ঘটনায় তার বাবা আবুল খায়ের বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল গ্রেফতারের পর নিহত কায়সার মাহমুদের স্ত্রী শাহনাজ নাদিয়া তৎকালীন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আমিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ শুরু হয়।