বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়ককে ইতোমধ্যে পায়রা নদীর ওপর দিয়ে সংযোগ ঘটিয়েছে লেবুখালীর ‘পায়রা সেতু’ আছে উদ্বোধনের অপেক্ষায়। অক্টোবরের যে কোন সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সেতুটি দিয়ে যান চলাচল সর্বসাধারণের জন্য উন্মক্ত হবে।
এই সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে পদ্মার শরিয়তপুরের প্রান্ত থেকে সরাসরি কুয়াকাটার সঙ্গে প্রায় ২১৩ কিলোমিটার সড়কের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন হবে।
সেতুর নির্মাণ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দক্ষিণাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ব্যবস্থায় কুয়াকাটা পর্যন্ত নিরাপদে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সরকারের মহান উদ্যোগ এটি। এ ব্রিজটি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। এটির মাধ্যমে এখানকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং সর্বোপরি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।
ব্রিজটি চালুর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন ফেরিবিহীন নির্ঝঞ্জাট যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মনে করছেন দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
তারা বলছেন, বরিশাল অঞ্চলে এ যাবতকালে নির্মিত সর্ববৃহৎ এ সেতুটি দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে পটুয়াখালী-বরগুনা জেলাসহ উপকূলীয় ১০ উপজেলার অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন।
সেতুটি আগামী অক্টোবরে যেকোনো সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে বরিশালের বিভাগীয় প্রশাসন।
পায়রাসেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আবদুল হালিম , এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল স্টেট পদ্ধতিতে করা ১ হাজার ৪শ ৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি বাংলাদেশে দ্বিতীয়।
তিনি বলেন, এই সেতুর কিছু বিশেষত্বর মধ্যে একটি হলো সব থেকে ‘ডিপেস্ট ফাউন্ডেশন’। ১শ ৩০ মিটার পাইল বিশিষ্ট সেতু এটি, যা পদ্মাসেতুর ক্ষেত্রেও করা হয়েছে। তবে পদ্মাসেতুর আগে আমাদের এটা হয়েছে। এছাড়া প্রথবারের মতো এই সেতুতে আমরা ‘ব্রিজ হেলথ মনিটরিং সিস্টেম’ চালু করেছি। বিভিন্ন দুর্যোগ বা ওভারলোডেড গাড়ি চলাচলের ফলে ব্রিজের যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়, তার (ক্ষতির) পূর্বাভাস দেবে এই হেলথ মনিটরিং সিস্টেমটা। এটা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনো সেতুতে সংযোজন করা হয়েছে।