গ্রাহকের করা প্রতারণা ও অর্থ-আত্মসাতের মামলায় ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান (রাসেলের স্ত্রী) শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তারের পর অফিসে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে অফিস বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বাসায় বসে অফিসের কাজ করবেন বলে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পাতায় ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। হোম অফিসেও ইভ্যালির সব কার্যক্রম ‘স্বাভাবিক’ সময়ের মতো চলবে বলে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।
ইভ্যালির ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ‘১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ইভ্যালি এমপ্লয়িগণ নিজ নিজ বাসা থেকে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। হোম অফিস পদ্ধতিতে ইভ্যালির সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলমান থাকবে। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আমাদের একান্তভাবে কাম্য। ইভ্যালির উপর আস্থা রাখুন, পাশে থাকুন। আপনাদের ভালোবাসাই আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।’
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে কয়েকশ কোটি টাকার দায়ে পড়েছে ইভ্যালি। এত অল্প সময়ে এই বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস এখনও মেলেনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ডিজিটাল ই-কমার্স পরিচালনসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহক ও মার্চেন্ট এবং অন্যান্য সেবা সংস্থার কাছে ইভ্যালির দেনা ৫৪৩ কোটি টাকা।
আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত জুলাই মাসে দুদকের আবেদনে ইভ্যালির শীর্ষ কর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।
গত বৃহস্পতিবার ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাবের হাতে আটকের পর শুক্রবার সংস্থাটির কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানটির কাছে গ্রাহকের সার্বিক পাওনার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা।