আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনার এই অতিমারিতে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ঝরে গেছে, স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের খুঁজে বের করে আবারও শিক্ষাঙ্গনমুখী করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবেন না। তিনি ভাবেন আগামী প্রজন্ম নিয়ে। পরবর্তী প্রজন্মের কথা মাথায় আছে বলেই তিনি আজ রাষ্ট্রনায়ক।
শুক্রবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শিক্ষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন কমিটি আয়োজিত ‘শিক্ষা: ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বাস্তবিক কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী দিনের রাজনীতি হতে হবে জ্ঞাননির্ভর, সেজন্য ছাত্র রাজনীতিকে জ্ঞান ও মূল্যবোধের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। পরীক্ষার্থী নয়, চাই শিক্ষার্থী, জীবিকা নয়,জীবনের জন্যই শিক্ষা প্রয়োজন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন এ বাস্তবতা শিক্ষক-অভিভাবক – শিক্ষার্থী ও নীতিনির্ধারকদের সবার আগে উপলব্ধি করতে হবে।
শিক্ষা দিবস নিয়ে ছাত্র সংগঠনের কোনো কর্মসূচি না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকের দিবসটা ছাত্র সমাজের জন্য অপরিহার্য, ’৬২-এরর শিক্ষা আন্দোলন নিয়ে আজ কয়জন জানে? তা জানা নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রনেতারা এখন তাদের ক্যাম্পাস, শিক্ষা, শিক্ষার সমস্যা এমনকি কোনো সংগঠন এই দিবসের তাৎপর্য নিয়ে সেমিনারও করে না। এ ধারা চলতে থাকলে ছাত্র সংগঠনগুলোর জৌলুস হারিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই মূহুর্তে জরুরি হচ্ছে গবেষণানির্ভর হয়ে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে নতুন কলাকৌশলে এগিয়ে যাওয়া।
মেধাবীদের মেধার মূল্যায়ন করতে হবে কোনো নেতার তদবিরে নয়, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার মান যেমন বাড়াতে হবে তেমনি শিক্ষকতার মানও বাড়াতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন এ মাসের শেষেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে, হলগুলোতে জীবন যাত্রা কেমন তা দেখতে হবে। হলগুলোতে অছাত্ররা অবস্থান করে, তাদের লিখিতভাবে হলে থাকা বন্ধ করতে হবে। এনিয়ে কে খুশি হলো, কে অখুশি হলো তাতে কিছু যায় আসে না।
শিক্ষাকে গুণগত গভীরতায় আনতে হলে এসব সিদ্ধান্ত নিতেই হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।