আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। বৃহস্পতিবার বিকাল চারটা কিছু সময় আগে এই অভিযান শুরু হয়। ভুক্তভোগীর দায়ের করা প্রতারণার মামলায় তারা গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
র্যাবের একাধিক সূত্র সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর গুলশান থানায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন এক ভুক্তভোগী।
বৃহস্পতিবার ভোরে আরিফ বাকের নামে এক ব্যক্তি ইভ্যালির অনলাইন প্লাটফর্মে তিন লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকার পণ্য অর্ডার করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পাননি উল্লেখ করে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন। যেখানে ইভ্যালির আরও বেশ কজন কর্মকর্তাকে ‘অজ্ঞাতনামা’ দেখিয়ে আসামি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, গতরাতে ভুক্তভোগী যখন থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখনই ইভ্যালির অনেককে নজরদারিতে রাখা হয়। এই তালিকায় রাসেল, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তারা রয়েছেন। উপরের অনুমতি পেলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
গত ২৫ আগস্ট সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরার আদালতে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন একজন গ্রাহক। মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নাম উল্লেখ করা হয়। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বাসিন্দা মো. রাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বহুল আলোচিত-সমালোচিত এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ ৪০৩ কোটি টাকা। আর ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। ৩৩৮ কোটি টাকাই কোম্পানির কাছে নেই।