ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

অনিয়মের অভিযোগ ওঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দায়িত্ব নেবে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কমিটির বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও কমিটির প্রধান হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। হাফিজুর রহমান একই সঙ্গে ডিজিটাল ই-কমার্স সেলের প্রধান।

তিনি বলেন, ‘সভায় ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকাসহ বিভিন্ন ই-কমার্সের বিষয় উঠে এসেছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু ইতোমধ্যে আইন অমান্য করেছে, সুতরাং মিনিস্ট্রি সরাসরি কোনো দায়িত্ব না নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রেফার করে দেবে তারা যাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এটা হলো কমিটির সুপারিশ বা সিদ্ধান্ত।’

এ জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলেও জানান হাফিজুর রহমান।

- বিজ্ঞাপন -

মহাপরিচালক বলেন, ‘আরও দু-একটির (ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান) বিষয়ে ছোটখাটো সিদ্ধান্ত আছে। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবের কাছে কমিটির সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করবো। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে আমরা এক্ষেত্রে আরও কিছু করতে পারবো কিনা। এর আগেও আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। তারা কিছুটা কাজ করলে অলরেডি আমরা যতটা জানি। আজও সিদ্ধান্ত হয়েছে এটা তাদের হাতেই দেওয়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’

‘‘আমরা দশটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চেয়েছি। একটার পেয়েছি, বাকি নয়টির তদন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক একই সঙ্গে একটা রিকোয়েস্ট করেছিল যে, স্বাধীন তৃতীয় পক্ষ দিয়ে এই কোম্পানিগুলোর আয়-ব্যয়ের তথ্য যাচাই-বাছাই করা যায় কিনা। কিন্তু এটার একটা আইনগত সমস্যা আছে। মন্ত্রণালয় সরাসরি কোনো কোম্পানির অডিট করতে পারবে কি না? সেটা আমরা যাচাই করে দেখছি, আইনগতভাবে আমরা সেটা পারি কি না। আমরা যদি আইনগত মতামত পাই তবে তৃতীয় পক্ষের অডিটর দিয়ে অডিট করাবো।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কিংবা মামলা লাগে। এক্ষেত্রে সেই রকম কিছু হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামলা করলে করবেন ভোক্তা কিংবা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে যে তথ্য পেয়েছি, ওখানে আমাদের একটা গ্যাপ পরিলক্ষিত হয়েছে, তার দায় ও সম্পদের মধ্যে বড় যে পার্থক্য সেটা কোথায় গেছে? এছাড়া গ্রাহকের কাছ থেকে সে টাকা নিয়েছে, বিনিময়ে পণ্য না দিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এই বিষয়গুলো ওখানে আসে।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায়ও ডিজিটাল প্রতারণা আছে, সেখানেও এটা অপরাধ। ভোক্তা অধিকার আইনেও কিছু অপরাধ আছে। এই জায়গাগুলো চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাচ্ছি। আগেও জানিয়েছি। এই মিটিংয়ের রেফারেন্সে আবার জানানো হবে।’

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!