ভিজে যাচ্ছি
খটখটে রোদ, তবু আমি লিখে যাচ্ছি মাথা নিচু করে
লিখে যাচ্ছি খাতার ওপর উপুড় হয়ে পড়ে
লিখতে লিখতে বৃষ্টি শুরু হয়
আমার চৌকাঠ ছুঁই ছুঁই জল
আমি ভিজে যাচ্ছি জলে
ভিজে যাচ্ছি অভাবে, ভিজে যাচ্ছি যন্ত্রনায়।
তোমাকে কথা দিয়েছি বলে
তোমাকে কথা দিয়েছি তাই আজ থেকে আর মৃত্যু লিখব না, তুমি জানো না হয়তো
বুকে একটা দমবন্ধ করা কষ্ট হয় মৃত্যু না লিখলে
কত শব্দ আজ পড়ে থাকে মৃতদেহ নিয়ে
কেবল তোমাকে কথা দিয়েছি বলে
তুমি আমার কাছে এক ফোঁটা বৃষ্টি চেয়েছিলে
কিন্তু আমার ভেজা হয়নি বৃষ্টির উপহারে
শুধু তোমাকে এক ফোঁটা বৃষ্টি দেব বলে
মেঘ কুড়তে যাই রাতের অন্ধকারে।
চাবুক
তোমার কাছে কান্না জমা রেখে যাই রোজ
আমার কবিতায় আজ আর শব্দ ফেরে না
তারাও যে যার মত হয়েছে নিখোঁজ
পাতে জড়ো হয় ডাল ভাত
কবিতার কাছে রেখে যাই কান্না অভিমান
ওরা দেবে আমায় এক টুকরো মাছ আমার আন্দাজ
আমার বুকের ভেতর বেধড়ক পড়ে শব্দ
চাবুক নাকি ব্রক্ষ্ম জানা নেই
আমার ষোলআনা লেখাই কবিতা
আমার কাছে প্রেমিক ও সেই
কত না পারা সংসার লিখে দিইঅনায়সে
কবিতা তুমি শুধু জানো
চুম্বনেও আগুন ঝলসায়,চাবুক নেমে আসে।
পিপাসা
আমি পালাচ্ছি প্রতিদিন
পুলিশের তাড়া খেয়ে চোরের মতন
পৌছতে চাইছি তোমার কাছে
পৌছতে চাইছি তোমার সাথে না হওয়া একটা সংসারের কাছে,
যেখানে আছড়ে পড়ব সেখানে যেন তোমার বুকের উঠোন থাকে,
ছুটতে ছুটতে চোখ ফেটে রক্ত বেরোচ্ছে, তুমি সামনে অথচ আমি পালাচ্ছি
আমার ঠোঁট থেঁতলে গেছে শুধু তোমার অবিশ্বাস্য মায়া পেতে চেয়ে
আমি যাচ্ছি অথচ তোমার কাছে পৌছতে পারছি না।
জন্ম – মৃত্যু দাঁড়িয়ে আছে একই চরাচরে
তোমার শরীর জেগে আছে পাগল করা আলোর মতন,
আমি সম্পূর্ণ আলাদা পিপাসার ভর করে।
তোমার নাম
সমুদ্রের তীরে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম
দেখলাম তোমার বিষন্ন ছায়া
তোমার শরীর জুড়ে চাঁদের চোখ
সমুদ্রের ঢেউ ছুঁয়ে যায় কায়া
আমার আকাশ ঘুমিয়ে পড়ে
তোমার বালি বুকে
তোমার নাম লুকনো থাকে
স্নায়ুর ভেতর, নিভৃত কোনো কোনে
সমুদ্রের ঢেউ জড়ায় আমার অস্তিত্ব
আমি শুষে নিই ঢেউ থেকে তোমার নাম।
তোমাকে ডাকতে পারি না
তুমি অনেক দিন ডেকেছ
আমি তোমার ডাকে সাড়া দিই নি
জানি তুমি দাঁড়িয়ে আছ দীর্ঘ সময় একা
তুমি ভাবছ কখন আমি তোমায় ডেকে নেব
আমি ডাকি না দিন চলে যায়
মাস চলে যায়, আমার গলা আবদ্ধ হয়ে আসে
আমি তোমাকে ডাকতে পারি না।