নাটোরের জুয়েলারি পট্টির তৈরি স্বর্ণ অলংকার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, সুনাম থাকার কারণে, জয়পুরহাট, পাঁচবিবি, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, পাবনা, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলার দোকান মালিকরা নাটোর থেকে অলংকার তৈরি ও প্রস্তুতকৃত অলংকার পাইকারি কিনে নিয়ে যায়।
নাটোর শহরের প্রাণকেন্দ্রের পিলখানা, আংশিক কাপুরিয়াপট্টি ও আংশিক লালবাজার জুড়ে বাহারি দোকানের পরিমাণ বাড়ছে দিন দিন। ডিলিং লাইসেন্স থাকার কথা থাকলেও তা নেই অধিকাংশ দোকানের। নাটোর শহরের স্বর্ণকার পট্টি ছাড়াও নাটোরের সাত উপজেলায় গড়ে উঠেছে রঙবেরঙের শত শত বাহারী জুয়েলার্সের শোরুম।
দীর্ঘ দিন ধরে চলছে রমরমা বাণিজ্য। প্রশাসনের গাফিলতির কারণে সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছেন। জেলায় মোট কতগুলো জুয়েলারি দোকান আছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে অনেকে এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন অযুহাত দেন।
রাজস্ব আদায়ের ১৯৫৬ সালের আইনের ৩ উপধারা (১)(২)(৩), অত্যাবশকীয় আদেশ ১৯৮১ ধারা ২৩ অনুযায়ী রাজস্ব ফাঁকির বিরুদ্ধে ব্যস্থা গ্রহণের উল্লেখ আছে। জেলা প্রসাশকের কার্যালেয়র সংষ্টিষ্ঠ শাখা সূত্রে জানা যায় একটি ডিলিং লাইসেন্স পেতে জেলা প্রসাশকের কার্যালেয়র নেজারত শাখায় আবেদন করতে হয়।
আবেদনকারীর তিন হাজার চারশত পঞ্চাশ টাকার চালানের কপি জমা দিতে হয়। এল .আর ফান্ডে পাঁচ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। বিবিধ ব্যয় আনুমানিক এক হাজার চার শত পঞ্চাশ টাকা। আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়।
সর্বমোট একটি ডিলিং লাইসেন্স পেতে দশ হাজার টাকা ব্যয় হয় এবং প্রতি বছর নবায়ণ করতেও একই পরিমাণ ব্যয় হয়। ডিলিং লাইসেন্স বাবদ একটি দোকান মালিকের প্রতি বছর প্রায় দশ হাজার টাকা ব্যয় হয়।
আবেদন করতে ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি, আবেদনকারীর এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ৩৪৫০ টাকা ভ্যাট সহ ট্রেজারি চালানের কপি এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি প্রয়োজন।
স্বর্ণ ব্যবসা করার জন্য একটি দোকানে ট্রেড লাইসেন্স থাকার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক ভাবে ডিলিং লাইসেন্স থাকতে হবে কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যায় নাটোরের বেশির ভাগ সোনার দোকানে নেই ডিলিং লাইসেন্স ।লাইসেন্স থাকলেও মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে নবায়ন করা হচ্ছে না।
ফলে প্রতিবছর কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাযোস আর অবহেলাকে দুষছেন সচেতন মহল। আর প্রশাসন বলছে দ্রুত ব্যাবস্থা নেবেন তারা।
জেলার জুয়ালারী মালিক সমিতির তালিকাভুক্ত সদস্য ৩২০টি প্রতিষ্ঠান, এর মধ্যে ১০০টি প্রতিষ্ঠানের ডিলিং লাইসেন্স হালনাগত থাকলেও বাঁকী গুলোর নেই। সাময়িকীর অনুসন্ধান দেখা যায় জেলার প্রায় ১ হাজার জুয়ালারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সাময়িকীর অনুসন্ধান:
নাটোর সদর:
নাটোর শহরের স্বর্নপট্টি এলাকা জুড়ে রয়েছে সারি সারি জুয়েলারি দোকান সর্বমোট কয়টা দোকান আছে তার কোন পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও জুয়েলারি মালিক সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা যায় ৩২০ জন মালিক নিয়ে গঠিত জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতি। এছাড়া ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে শত শত জুয়েলারি দোকান।
বিনয় জুয়েলার্সের মালিক বিনয় কুমার দাস সাময়িকীকে জানান, বর্তমানে জুয়েলারি পট্টিতে প্রায় ৩০০ শতাধিক দোকান রয়েছে এই পট্টির অনেকের ডিলিং নেই। তার চলতি বছরের লাইসেন্স নবায়ন করতে দেয়া আছে।
নাটোর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের লালবাজার মহল্লার আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু সাময়িকীকে জানান, প্রশাসন তাদেরকে দেখে না। জুয়েলারি দোকান মালিকরা ভেজাল সোনা দেয় ক্রেতাদের। লাইসেন্স না থাকলেও ব্যবসা পরিচালনা করে। বিষয়গুলো প্রশাসনিকভাবে মনিটরিং করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
সদর উপজেলার হালসা বাজারের সবিতা জুয়েলার্স বাজারের সবচেয়ে বড় দোকান বলে জানা যায়। দোকান মালিক রতন কর্মকার সাময়িকীকে জানান, হালসা বাজারে আমিন জুয়েলার্স, শিখা জুয়েলার্স, নাজমা জুয়েলার্স, সরকার জুয়েলার্স, ইসলামিয়া জুয়েলার্স, আবির জুয়েলার্স, শান্তি জুয়েলার্স সহ প্রায় ১৫টা দোকান আছে।
সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন জুড়ে রয়েছে বড় বড় জুয়েলারি দোকান। হালসা , গকুলনগর , দত্তপাড়া , দিঘাপতিয়া , তেবাড়িয়া হাট, কাফুরিয়া, খেজুরতলা , ষ্টেশন বাজার, কালিগঞ্জ, মোমিনপুর, লক্ষিকুলসহ বিভিন্ন বাজারে রয়েছে প্রায় ২০০ শতাধিক দোকান।
নলডাঙ্গা উপজেলা:
নলডাঙ্গা বাজারের মঙ্গলদ্বীপ জুয়েলার্স এর মালিক সুভাষ কুমার প্রাং সাময়িকীকে জানালেন, নলডাঙ্গায় সাধনা, বর্ণ, মঙ্গলদ্বীপ জুয়েলার্স সহ প্রায় ১২টা জুয়েলারি দোকান আছে। এছারা খাজুরা ,বাসুদেবপুর , মাধনগর, সোনাপাতিল বাজারসহ এই নলডাঙ্গা উপজেলার প্রায় ৭৫টি সোনার দোকান আছে। এখানে কোন দোকানেরই ডিলিং লাইসেন্স নেই বলে জানালেন তিনি।
সিংড়া উপজেলা:
সিংড়া বাজার, কুষুমবিকালিগঞ্জ, কলম , সাওঁল , হাতিয়নদহ বাজারে প্রায় শতাধিক সোনার দোকান আছে। সিংড়া বাজারের শতরুপা জুয়েলার্সে গেলে দোকান মালিককে পাওয়া যায়না। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাময়িকীকে জানান, তার দোকানের ডিলিং লাইসেন্স আছে তবে নবায়ন করা হয় নাই।
সিংড়া উপজেলা জুয়েলারী মালিক সমিতির সভাপতি ও সরকার জুয়েলার্সের মালিক সনজিত সরকার সাময়িকীকে জানান, সিংড়া বাজারে প্রায় ৫০ টির অধিক স্বর্ণ শিল্পের দোকান আছে। তিনি নিজ উদ্যোগে ২৬টি দোকানের ডিলিং লাইসেন্স করিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে লাইসেন্সগুলো নবায়ন হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না।
সোনার দোকানগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হলেই মালিকরা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। ব্যবসা করতে হলে বৈধতার প্রয়োজন আছে। প্রত্যেককে বলা হয়েছে ব্যবসা করলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার। বৈধ্যতা থাকার প্রয়োজন। তারা যদি নিয়ম না মানে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
বাগাতিপাড়া উপজেলা:
বাগাতিপাড়া উপজেলার প্রায় ১০২টি দোকান রয়েছে যাদের কাছে ডিলিং নেই দুই এক জনার থাকলেও নেই নবায়ন করা। দয়ারামপুর ৩০টা তমালতলা ১৫, গালিমপুর ১৫টা, জামনগর ১০টা, জিগরি ০৫টি, মালঞ্চি ০৫টি , বিহারকোলসহ বিভিন্ন বাজারে মিলে দেখা যায় জুয়েলারি শতাধিক দোকান ।
দয়ারামপুর বাজার এর জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি ও বিশ্বকর্মা জুয়েলার্স এর মালিক বিমল কর্মকার সাময়িকীকে জানান এই বাজারে বিসমিল্লাহ জুয়েলার্স, মাতৃ জুয়েলার্স, ভাগ্যলক্ষী জুয়েলার্স, রেখা জুয়েলার্স, শিবশক্তি জুয়েলার্স সহ প্রায় ৩০টা জুয়েলারি দোকান আছে তবে ডিলিং লাইসেন্স কারো আছে বলে তার জানা নইে।
বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায় তাদের কারো ডিলিং নেই। সরকার জুয়েলার্স এর মালিক বীরেন কুমার সরকার সাময়িকীকে জানান, তার ডিলিং লাইসেন্স দেখাবেনা জানালেন জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির কাছে নবায়ন করতে দেওয়া আছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা:
উপজেলার দোকান সর্বমোট ৭৯টি । চাঁচকৈর বাজারের জুয়েলারী মালিক সমিতির সভাপতি অঙ্গশ্রী জুয়েলার্স এর মালিক শ্রী সূর্যকান্ত কর্মকার সাময়িকীকে জানান, চাঁচকৈড় বাজারে শোভা,দীপা, মিনতি, লাবনী, প্রতিমা জুয়েলার্স সহ প্রায় ৩৫ টা জুয়েলারী দোকান আছে এবং গুরুদাসপুর বাজারে আছে প্রায় ১২ টা দোকান।
নাজিরপুরে অনেক দোকান আছে সঠিক কতগুলো তা জানা নেই এবং তারা এই সমিতির সদস্য না। সব দোকান আমাদের সমিতির আওতায় নেই । কয়েকটা দোকানদার বলে ডিলিং লাইসেন্স আছে তবে দেখতে চাইলে দেখায় না। এ ব্যাপারে সরকারের একটু নরে চরে বসা দরকার বলে তিনি মনে করেন ।
লালপুর উপজেলা:
লালপুর বাজারের স্বর্ন ব্যবসায়ী অপরূপ জুয়েলার্স এর মালিক পরিতোষ কর্মকার সাময়িকীকে জানান, লালপুরে কোন জুয়েলারীর মালিক সমিতি নেই। এই বাজারের বড় কোন দোকানের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণ, বিশ্বকর্মা, বিসমিল্লাহ জুয়েলার্সসহ প্রায় ২৫ টি জুয়েলারী দোকান আছে এছাড়া বিলমারিয়া, নওপাড়া কলেজ মোড় দিয়ে আরো ১০ টা দোকান আছে।
জুয়েলারী দোকান দিলে ডিলিং লাইসেন্স‘এর প্রায়জন হয় তিনি জানেন না। এই বাজারে কারো ডিলিং লাইসেন্স আছে বলে তার জানা নেই। সরজমিনে ঘুরে এই বাজারের কারো ডিলিং লাইসেন্স পাওয়া যায়নি।
গোপালপুর বাজারে, নিরা জুয়েলারী সমিতির সাধারন সম্পদক নিবারন কর্মকার সাময়িকীকে জানান, গোপালপুর বাজারে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০ টা জুয়েলারী দোকান আছে। ওয়ালিয়া বাজারে প্রায় ২০ টার মত দোকান আছে।কারো ডিলিং লাইসেন্স করা আছে বলে তার জানা নেই। তার নিজেরও ডিলিং লাইসেন্স নেই।
বড়াইগ্রাম উপজেলা:
বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ায় ৩০, লক্ষিকোলে ১০, রাজাপুরে ১২, আহম্মেদপুরে ১২, মৌখাড়ায় ১৫ এবং কয়েন বাজারে ৩টি মিলে মোট ৮২ টা জুয়েলারি দোকান অছে। বেশিভাগ দোকানের নেই ডিলিং লাইসেন্স। যাদের লাইসেন্স আছে তাদের নবায়ন করা নেই। তবে তারা বলছে জেলা জুয়েলারি সমিতিতে নবায়ন করার জন্য দেওয়া আছে।
বনপাড়া বাজারের জুয়েলারি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নমিতা জুয়েলার্স এর মালিক বৈদ্যনাথ সাহা সাময়িকীকে জানানে, এখানে প্রায় ৩০টা জুয়েলারি দোকান আছে। যাদের ডিলিং লাইসেন্স নেওয়ার সামর্থ্য আছে তাদের লাইসেন্স আছে।দোকানের লাইসেন্স থাকলেও চলতি বছরের লাইসেন্স তিনি হাতে পাননি নবায়ন করতে দেওয়া আছে।
সাময়িকীর পরিসংখ্যান:
সাময়িকীর পরিসংখ্যানে দেখা যায় সদর উপজেলায় ৪৮০ সিংড়া ১০৫ বড়াইগ্রাম ৮২ লালপুর ৮৫ গুরুদাসপুর ৭৯ বাগাতিপাড়া ১০২ ও নলডাঙ্গা উপজেলায় ৭৫টি সব মিলিয়ে জেলায় সর্বমোট প্রায় ১০০৮টি জুয়েলারী দোকান আছে।
একটি দোকানের ডিলিং লাইসেন্স না থাকা বা নবায়ন না করার জন্য সরকার একটি দোকান থেকে বছরে ১০ হাজার টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। প্রায় একহাজার দোকানের লাইসেন্স বাবদ সরকার প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে এর বাইরে জেলা প্রশাসকের এল.আর ফান্ডও বঞ্চিত হচ্ছে ।
জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ভবেশ চক্রবর্তী ভক্ত সাময়িকীকে জানান, ডিলিং লাইসেন্স ছাড়া জেলার প্রায় ৪০ ভাগ দোকান রয়েছে। মাসিক মিটিংয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়। যাদের ডিলিং লাইসেন্স নেই তারা যেন লাইসেন্স নেন। তারা যদি নীতি নিয়ম না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা সাময়িকীকে জানান, স্বর্ণ ব্যবসার মাধ্যমে যারা লাভবান হচ্ছেন অথচ অবলীলায় সরকারী ক্ষাতে টাকা ফাঁকি দিচ্ছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি যারা আছেন তারা অনতি বিলম্বে এই বিষয় গুলো খতিয়ে দেখে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক সাময়িকীকে জানান, জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স নিয়ে নিয়ম নেমে চলা এবং যারা লাইসেন্স নিচ্ছে না তাদেরকে সনিকভাবে সময় দিয়ে লাইসেন্স নেওয়ার জন্য আহবান করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ সাময়িকীকে জানান, জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সহযোগিতায় যে সমস্ত জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের ডিলিং লাইসেন্স নেই, তাদেরকে লাইসেন্স করতে এবং নবায়নের জন্য আহ্বান করা হবে। প্রশাসনের আহ্বানে সাড়া না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানালেন।
সোনার দোকানের লাইসেন্স না থেকেও কিভাবে বছরের পর বছর তারা লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা করে যাচ্ছেন? সেটি কারও জানা নেই! কর্তৃপক্ষও উদাসিনতার পরিচয় দিচ্ছেন। যারা সখের অলংকার তৈরী করে মানুষকে আত্মতৃপ্তি দিচ্ছেন সেই দোকান মালিকরাই ফাঁকি দিচ্ছেন সরকারের টাকা।