ভারতের মুম্বাইয়ে ২০১২ সালে চলন্ত বাসে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা গোটা ভারত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আবারও সেই নৃশংস ঘটনার দেখতে পেল ভারতবাসী। মুম্বাইয়ের আন্ধেরির সাকিনাকায় পঁয়ত্রিশ বছর বয়সই এক নারীকে গণধর্ষণের পর তার যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছে।
ভারতের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৯ই সেপ্টেম্বর) রাতে অন্ধেরির সাকিনাকায় এক নারী টেম্পোতে চড়ে পুজোর কেনাকাটা করতে যাচ্ছিছেন। পথিমধ্যে ওই নারী গণধর্ষণের শিকার হন এবং তাকে যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে অত্যাচার করে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। আজ সকালে হাসপাতালে ওই নির্যাতিত নারীর মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ঘটনায় অভিযোগ দায়েরকরা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই নৃশংস বর্বরতম কাণ্ডে একজন নয়, বেশ কয়েকজন জড়িত আছে। আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোররাতে কন্ট্রোলরুমে খবর আসে সাকি নাকা এলাকায় এক মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশের একটি দল। সঙ্কটজনক অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে ঘাটকোপারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নারী আজ হতাশ হয়ে পড়েছে… কিন্তু নির্যাতন বন্ধ নেই। মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মহেশ্বর রেড্ডি জানান, টেম্পুর মধ্যে একজন নারী গুরুতর আহত হন। রক্ত ঝরছিল এমন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর পুলিশ সেখান থেকে ওই নারীকে দ্রুত রাজবাড়ী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন এবং তৎপরতার সাথে সেখানে ভর্তি করে ওই নারীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় আভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে একজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজবাড়ি হাসপাতালের চিকিৎসকগণ জানান, গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নারীকে হাসাপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই নারীর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে অত্যাচার করার ফলে শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।