বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় যৌতুকের জন্য এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
এছাড়া খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে।
মৃত ওই গৃহবধূ স্বজনদের অভিযোগ, গত ১০ বছর আগে উপজেলার আস্কড় গ্রামের অমৃত হালদারের মেয়ে মিতালী হালদার (২৮) এরমাথে একই উপজেলার থানেশ্বর কাঠী গ্রামের নির্মল বৈদ্য’র ছেলে মিন্টু বৈদ্য’র সাথে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য মিতালীকে নির্যাতন করত স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন।
এছাড়া সম্প্রতি স্বামীর সাথে অন্য একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।। বিষয়টি গৃহবধূ মিতালী জানার পর স্বামীকে বাঁধা দিলে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়।
স্বজনদের অভিযোগ এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেলে ওই গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় স্বামীসহ পরিবারের লোকজন।
বিষয়টি জানতে পেরে ওই বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় বিছানার উপর শোয়ানো দেখে পুলিশকে খবর দেয় মিতালীর স্বজনরা।
পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে মৃত ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহার ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে মৃতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। শনিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া এ ঘটনায় মৃত ওই গৃহবধূর মা ফুলমালা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী মিন্টু বৈদ্য ও শাশুড়ি পুষ্প বৈদ্য নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।