আজ প্রকাশিত হল সিদ্ধার্থ সিংহের দৈনিক কলামের শততম পর্ব। এটি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এটা শুরু হয়েছিল গত ২৩ মে, রবিবার, ২০২১ থেকে।
দৈনিক কলম ছাড়াও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তাঁর কল্পবিজ্ঞানভিত্তিক একটি ধারাবাহিক উপন্যাস। প্রকাশিত হচ্ছে একদিন অন্তর।
যে সব দেশে কোনও বিমানবন্দর নেই।
সিদ্ধার্থ সিংহ
দেশ আছে, অথচ সেই দেশে কোনও বিমানবন্দর নেই। এ রকম দেশ একটা দুটো নয়, আছে বেশ কয়েকটি। যেমন— মোনাকো।
পৃথিবীর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ হল মোনাকো। পুরো নাম প্রিন্সিপালিটি অফ মোনাকো। এই দেশটিকে তিন দিক দিয়ে ঘিরে আছে ফ্রান্স আর অন্য দিকে রয়েছে ভূমধ্যসাগর। আয়তন মাত্র ২.০২০ বর্গ কিলোমিটার। বিশ্বের সব চেয়ে ধনী দেশ, মানে যেখানে মাথা পিছু আয় প্রায় ১,৬৮,০০০ ডলার। অথচ সেই দেশে কোনও বিমানবন্দর নেই। এই দেশের সব চেয়ে কাছের বিমানবন্দর হল— ফ্রান্সের নিশ শহরের কটি ডি আজুর বিমানবন্দর। পশ্চিম ইউরোপের এই দেশে যেতে হলে ওই বিমানবন্দরে নেমে হেলিপোর্ট সার্ভিস করে মোনাকো যেতে হয়।
এ রকমই আরও এক ছোট্ট দেশ— সান মারিনো। এই দেশটিকে চার দিক দিয়ে ঘিরে রয়েছে ইতালি। এই সান মারিনোতে বিমানে করে যেতে গেলে নামতে হবে ইতালির ফেডেরিকো ফেলিনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
ব্যতিক্রম নয় আরও একটি দেশ— আন্ডোরা। অপূর্ব সুন্দর একটি দেশ। সবুজ পাহাড়, গাছগাছালি আর নৈসর্গিক দৃশ্য ভরা এই মনোরম দেশ থেকে চোখ ফেরানো যায় না। ছোট্ট এই দেশের সীমানার ওপারেই রয়েছে স্পেন আর ফ্রান্স। ওই দুই দেশের বিমানবন্দরই ব্যবহার করেন এখানকার নাগরিকরা।
আরও একটি দেশ— লিকটেনস্টাইন। সুইজারল্যান্ড আর অস্ট্রিয়ার মধ্যে ছোট্ট এক টুকরো ভূখণ্ড। আয়তনে খুব ছোট্ট। এই দেশেরও নিজস্ব কোনও বিমানবন্দর নেই। তবে হেলিকপ্টার ওঠা-নামার জন্য এখানে একটি হেলিপোর্ট রয়েছে। দক্ষিণের বালজারস শহরে।
সুইজারল্যান্ডের সেন্ট গ্যালেন আলটেনহেইন এবং জার্মানির ফ্রিয়েজরিখশাফেনের বিমানবন্দর হল এই দেশের নিকটতম বিমানবন্দর।
এ ছাড়াও রয়েছে— ভ্যাটিকান সিটি। এদেরও নিজস্ব কোনও বিমানবন্দর নেই। পশ্চিমে শুধু একটা হেলিপোর্ট রয়েছে। কোনও রাষ্ট্রনায়ক বিদেশ থেকে এলে কিংবা ভ্যাটিকানের কাউকে বিদেশে যেতে হলে ওই হেলিপোর্টের মাধ্যমেই কাছাকাছি কোনও বিমানবন্দরে যেতে হয়। পৃথিবীর সব থেকে ছোট্ট এই দেশটির নিকটবর্তী বিমানবন্দর হল ইতালির রোম সিয়ামপিনো বিমানবন্দর।