১২ ঘণ্টা পর সারাদেশের সঙ্গে খুলনার রেল যোগযোগ চালু হয়েছে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে রেল যোগযোগ চালু হয় বলে জানিয়েছেন উথলী রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আলী।
এর আগে, রোববার (২৯ আগস্ট) রাত ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার ৭ ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
জানা যায়, খুলনা থেকে জ্বালানীবাহী একটি মালবাহী ট্রেন পার্বতীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি উথলী রেল স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে লাইনচ্যুত হয়।
এ ঘটনার পর উথলী রেলওয়ে স্টেশনের পার্শবর্তী দর্শনা, আনছারবাড়িয়া এবং সাবদালপুর স্টেশনে চারটি যাত্রীবাহী ট্রেন আটকা পড়েছে।
এদিকে, তেলবাহী রেল ট্যাংকারের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সকালে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত জানান।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পাকশি বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বীরবল মণ্ডল, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম, (লোকো) আশীষ কুমার মণ্ডল, বিভাগীয় সংকেত- টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী রাজিব বিল্লাহ।
পাকশি বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় কিছুটা দুর্ভোগে পড়েছে তিনটি আন্তনগর ট্রেন দুটি মেইল ট্রেনের কয়েক শতাধিক যাত্রীরা।
তিনটি আন্তনগর ট্রেনের মধ্যে রয়েছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আলমডাঙ্গা স্টেশনে, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস চুয়াডাঙ্গা ও খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি দর্শনা রেলস্টেশনে থামিয়ে রাখা হয়।