পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা উপকূলের জেলেদের জালে দুই দিনে ধরা পড়লো বিরল প্রজাতির ১৫ সেইল ফিশ বা পাখি মাছ।
কলাপাড়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, মাছগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু হওয়ার দেশের বাইরে বেশ চাহিদা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে মাছটিকে ‘পাখি মাছ’ বলা হলেও এর ইংরেজি নাম ‘সেইল ফিশ’। এ মাছ গভীর সমুদ্রে বেশি দেখা যায়।
পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরে আগত জেলেদের সূত্রে জানা যায় সমূদ্রে তাদের জালে ধরা পড়া এ বিরল প্রজাতির ১৫টি সেইল ফিশের মধ্যে শুক্রবার ৭টি এবং বৃহস্পতিবার ৮ টি সেইল ফিশ এ মৎস বন্দরে আনা হয় ।
এগুলোর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাতে বঙ্গোপসাগরে কুয়াকাটা উপকূলের কালাম উল্লাহ নামের এক মাঝির জালে পাঁচটি ও সোবাহান নামের অপর এক মাঝির জালে দুটি সেইল ফিশ ধরা পড়ে।
এ সাতটি মাছের মধ্যে তিনটির ওজন ৬০ কেজি করে। একটির ওজন ৪৫ কেজি। বাকি তিনটির ওজন ৩১ কেজি করে।
মাছগুলো স্থানীয় পাইকারী ব্যবসায়ী হারুন সাত হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে কিনে নেন। পরে শুক্রবার (২৭ আগষ্ট) দুপুরে মাছগুলো মহিপুর মৎস্য বন্দরের টিপু ফিশ নামের গদিতে বিক্রি করতে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে বুধবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরে বৈরাগী বয়া এলাকায় ‘এফবি মা বাবার দোয়া’ নামের একটি ট্রলারে আটটি সেইল ফিশ মাছ ধরা পড়ে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) নুরুন্নবী মাঝি নামের এক জেলে ৬০ ও ৫৫ কেজি ওজনের এ আটটি সেইল ফিশ মহিপুর বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন।
ট্রলারের মাঝি নুরুন্নবী বলেন, গভীর সমুদ্রে জাল ফেললে মাছগুলো জালে আটকা পড়ে। পরে সেগুলো এক আড়ৎদারের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। মহিপুর বন্দরের আড়তদার পিন্টু ভদ্র বলেন, মাছগুলো জেলেদের কাছ থেকে ৪৮ হাজার ৫০০ টাকায় কিনেছি। এগুলোকে ছোট-ছোট করে বিক্রির জন্য পাঠাবো।
জেলেরা জানান, দ্রুতগামী এ মাছ এর আগে কখনও তাদের জালে ধরা পড়েনি। মাছের ওজন বেশি হওয়ায় ঘাটে নিয়ে আসতে তাদের বেশ কষ্ট হয়েছে। মহিপুর মৎস্য বন্দরে মাছগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে সেগুলো দেখার জন্য ভিড় জমায় উৎসুক মানুষ।