ঘটনাটি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের উত্তর বড়মগরা গ্রামে দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দিয়ে গত তিন মাস ধরে পাঁচটি পরিবারকে অবরুদ্ধ অবস্থায় জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং ইউএনও’র কাছে লিখিত আবেদন করেও কোন সুফল পায়নি ভুক্তভোগীরা।
ভূক্তভোগিদের অভিযোগে জানা গেছে, ওই গ্রামের সতীশ বাগচীর পুত্র সচীন বাগচী, সুনিল বাগচী ও সুধীর বাগচী গ্রামে দীর্ঘ দিনের চলাচলের রাস্তা গত দিন মাস আগে বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দেন।
ফলে একই বাড়ির অন্যান্য শরীক আদিত্য বাগচীর পুত্র বাসুদেব বাগচীসহ পাঁচটি পরিবার ও এলাকার লোকজনের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়।
অবরুদ্ধ পরিবারগুলো স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্যদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন সুফল না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন।
অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্য বাসুদেব বাগচী জানায়, তাদের বাড়িতে যাতায়াতের জন্য দীর্ঘদিনের পুরোনো একমাত্র রাস্তাটি তিন মাস আগে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
ওই বেড়ার কারণে তাদের পাঁচটি পরিবারসহ গ্রামের কোন লোকজন যাতায়াত করতে পারছেন না। ফলে বিকল্প পথে অন্যের বাড়ির জায়গা দিয়ে কোন রকম ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে।
অভিযুক্ত সুনীল বাগচী বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদের সাথে জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। তারা বাড়ির মধ্যদিয়ে চলাচলের কারণে রাস্তা খারাপ হয়েছে, ওই রাস্তা ঠিক করে না দিলে তাদের চলাচলের জন্যও বাঁশের বেড়া খুলে দেয়া হবেনা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য অজিত কুমার শিকারী জানান, দুই পক্ষের জায়গা নিয়ে বিরোধের কারণে চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দেয়ার ঘটনায় কয়েক দফায় সমাধানের চেষ্টা করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তাই ভুক্তভোগীদের ইউএনও বরাবর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হাশেম বলেন, বাড়িতে যাতায়াতের জন্য রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখায় একটি পরিবারের পক্ষ থেকে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।