ভীষণ দেরি হয়ে গেছে। তান্ত্রিক-বাবাকে ইমলি বলে এসেছিলেন, তিনি যাবেন আর আসবেন। কিন্তু ড্রয়ার খুলতেই যে তাঁর এত সময় লেগে যাবে, কে জানত! অবশ্য না, তাঁর চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ, উনি তখনই যাগ্যজ্ঞ শুরু করে দিয়েছেন। এতক্ষণে হয়তো তাঁর বশীকরণের মন্ত্র একটু-একটু করে কাজ করতেও আরম্ভ করে দিয়েছে।
তাঁর একটু দেরি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু কোনও লোক যখন গুরুত্বপূর্ণ কোনও কাজে একেবারে মশগুল হয়ে যান, তখন বাইরের কোনও কিছুই তাঁর আর খেয়াল থাকে না। নাওয়া-খাওয়া ভুলে যান। ভুলে যান কখন দিন আর কখন রাত। দেখতে দেখতে পেরিয়ে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
আর উনি তো এখন সে রকমই একটা কাজে মেতে আছেন। ফলে তিনি দেরি করে এলেন, নাকি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফিরে এলেন, সে সব ভাবার সময় কি আর তাঁর আছে! তবু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই তান্ত্রিক-বাবার কাছে তিনি যেতে চান। তাই তিনি প্রায় রুদ্ধশ্বাসে ছুটছেন। না। আর খুব একটা পথ বাকি নেই। এই পৌঁছলেন বলে…
টেনশনে এত দ্রুত পা ফেলছেন যে, নীচের দিকে তাকাবার পর্যন্ত ফুরসত নেই। আর সে জন্যই হঠাৎ করে কীসে যে পা বাঁধল, তিনি বুঝতেই পারলেন না। আর একটু হলেই হোঁচট খেয়ে একদম মুখ থুবড়ে পড়ছিলেন আর কী। কিন্তু না। তিনি পড়লেন না। পড়ার আগেই কে যেন তাঁকে ধরে ফেললেন।
কে ধরলেন! ছেলে আর স্বামীর জন্য তিনি একটাই উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন যে, বুঝতেই পারলেন না এই অবস্থায় লোকটাকে কী বলা উচিত— সরি, না থ্যাঙ্ক ইউ।
নিজেকে কোনও রকমে সামলে নিয়ে লোকটার মুখের দিকে তাকাতেই যেন আকাশ থেকে পড়লেন ইমলি।— তুমি?
তিতার বললেন, হ্যাঁ আমি।
— আমি মানে? সেই কখন থেকে তোমাকে হন্যে হয়ে খুঁজছি। আর তুমি ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছ? কোথায় গিয়েছিলে?
— মহাশূন্যে।
ইমলি বললেন, এই রকম অবস্থাতেও তোমার ইয়ার্কি মারতে ইচ্ছে করছে?
— আমি একটুও ইয়ার্কি মারছি না। সত্যিই বলছি। বিশ্বাস করা, না-করা তোমার ব্যাপার। কিন্তু… তুমি কোথায় যাচ্ছ?
— বাবার কাছে।
— বাবার কাছে! তিনি তো বহু দিন আগেই… অ্যাক্সিডেন্টে…
— আরে বাবা, সেই বাবা না। তান্ত্রিক-বাবা।
ভ্রু কুঁচকে তিতার বললেন, তান্ত্রিক-বাবা! মানে!
— সে অনেক কথা। এখন বলার সময় নেই। তোমাকে পরে সব বলব।
— সে ঠিক আছে, পরে বোলো। কিন্তু তাঁর কাছে যাচ্ছ কেন?
ইমলি বললেন, ছেলের জন্য।
— ছেলের জন্য! ছেলে তো আমার সঙ্গে।
— কোথায়?
শান্ত গলায় তিতার বললেন, আসছে।
— আসছে মানে? কোত্থেকে আসছে? আকাশ থেকে?
— আসছে রে বাবা, আসছে।
তিতারের পিছন দিকে যতটা চোখ যায়, সে দিকে উঁকিঝুঁকি মেরে ইমলি বললেন, কোথায়? ওকে তো তিন মাইলের মধ্যে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না… বলতে না-বলতেই ইমলি দেখলেন, কেউ কোত্থাও নেই, হঠাৎ কোথা থেকে হুট করে তাঁর সামনে এসে দাঁড়াল তাঁদের সবেধন নীলমণি— জুরান। তাকে দেখে একদম থ’ হয়ে গেলেন ইমলি। মুখ থেকে আর কোনও শব্দ বেরোল না। আনন্দে একেবারে বিহ্বল হয়ে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে পাগলের মতো আদর করতে করতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন।
তিতার বললেন, এ কী! ছেলেকে পেয়ে খুশিতে কোথায় হাসবে, তা নয়, উল্টে কাঁদছ?
আঁচলের কোণ দিয়ে চোখের জল মুছতে-মুছতে ধরা গলায় ইমলি বললেন, ও তুমি বুঝবে না। এই ছেলেকে কি আমরা কোনও দিন ফেরত পেতাম!
— তার মানে?
— এ সব ওই তান্ত্রিক-বাবার কেরামতি। বুঝেছ? যারা ওকে নিয়ে গিয়েছিল, উনি যাগ্যজ্ঞ-বশীকরণ করে তাদের সন্তুষ্ট না-করলে ওকে আমরা কোনও দিনই পেতাম না। সেটা কি জানো? এই দ্যাখো, বলেই, হাতের মুঠোয় ধরা টাকার ব্যাগটা দেখিয়ে ইমলি বললেন, ওই কাজ করার জন্য ওনাকে আমি আট হাজার টাকা দিতে যাচ্ছি।
— টাকা? কেন?
— ছেলেকে ফিরিয়ে আনার জন্য উনি যে কাজ করেছেন, তার জন্য। নাঃ, সত্যিই… এই তান্ত্রিক-বাবার ক্ষমতা আছে বলতে হবে। উনি ওখানে সবে মন্ত্র পড়া শুরু করেছেন, আর এর মধ্যেই দ্যাখো, ছেলে একেবারে আমাদের সামনে এসে হাজির। ভাবা যায়! মন্ত্রের জোর কতখানি, না!
মায়ের কথা শুনে বাবার দিকে অবাক হয়ে তাকাল জুরান। বাবাও ছেলের মুখের দিকে তাকালেন। কয়েক মুহূর্ত মাত্র। আর তাতেই ওদের চোখে চোখে কথা হয়ে গেল।
ওদের একে অপরের দিকে ও রকম ভাবে তাকাতে দেখে ইমলি জিজ্ঞেস করলেন জুরানকে, তোকে সেই সকাল থেকে পাগলের মতো খুঁজছি। কোথায় গিয়েছিলি রে?
— মহাশূন্যে।
— মহাশূন্যে? যেমনি বাবা তার তেমনি গুণধর ছেলে, না? একেবারে হয়ে উঠেছিস…
— বিশ্বাস করো, আমি এতটুকুও মিথ্যে বলছি না। আমরা মহাশূন্যেই গিয়েছিলাম।
— হ্যাঁ জানি। তোরা কোন মহাশূন্যে গিয়েছিলি…
ফের জুরান বলল, বিশ্বাস করো মা…
— হ্যাঁ, বিশ্বাস করব। বিশ্বাস করার মতো কথা বলছিস তো… মহাশূন্যে গিয়েছিলাম… মহাশূন্য যেন পাশের বাড়ির চিলেকোঠা। এই গেলাম আর এই এলাম।
এ বার আর জুরান নয়, তিতারও বললেন, বিশ্বাস করো…
— ওফ্ বাবা, তুমিও?
— বাবা মিথ্যে কথা বলছে না মা… জুরান খুব আস্তে আস্তে মাকে বলল।
— হ্যাঁ, তোর বাবা মিথ্যে বলছে না। তুইও মিথ্যে বলছিস না। তোরা মহাশূন্যেই গিয়েছিলি, হাওয়া খেতে। তাই তো?
তিতার বললেন, তুমি বিশ্বাস না-করলেই যে সেটা মিথ্যে হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়।
— বাজে কথা বোলো না তো… মহাশূন্যে গিয়েছিল… হুঃ, ওখানে যাওয়া যদি এতই সহজ হত, তা হলে সামান্য মঙ্গল গ্রহে যাবার জন্য পৃথিবীর সেরা-সেরা বিজ্ঞানীদের নিয়ে অত্যন্ত গোপনে এক-একটা দেশ বছরের পর বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে যেত না। কোটি-কোটি ডলার-ইউরো খরচ করে কোনও যান তৈরি করত না। তোদের মতো উড়ে উড়েই চলে যেত।
— মা, আমার মনে হয় কি জানো, যারা এখান থেকে নিজেরা ওখানে যেতে চায়, তাদের ও রকম ভাবে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েই যেতে হয়। আর ওরা যাদের নিয়ে যেতে চায়, তাদেরকে ওরা চোখের পলক পড়ার আগেই এক নিমেষে এখান থেকে তুলে নিয়ে যায়। আবার পাঠাবার দরকার হলে কেউ টের পাওয়ার আগেই এক মুহূর্তে পৌঁছে দিয়ে যায়।
— যেমন তোদের দিয়েছে, তাই তো?
— হ্যাঁ মা, একদম তাই। তবে শুধু আমাদের না। আরও অনেককেই ওরা পাঠিয়েছে। আমাদের ভাগ্য ভাল যে, যে দিন নিয়েছে, সে দিনই পাঠিয়ে দিল।
এত রাগ-অভিমানের মধ্যেও জুরানের কথা শুনে হাসি পেয়ে গেল ইমলির। ঠোঁট টিপে বললেন, তাই বুঝি?
— হ্যাঁ মা। সে দিন তো আমাদের ক্লাসের এক বন্ধু আমাকে বলছিল, ওর বাবা নাকি ইন্টারনেটে সার্চ করতে করতে দেখেছেন, ক্যাপ্টেন কে ই নামের ইউ এস-এর এক মেরিন অফিসার জাহাজের ডেক থেকে একদিন সকালে আচমকাই উধাও হয়ে গিয়েছিলেন।
সমুদ্র তখন শান্তই ছিল। আকাশও ছিল একেবারে ঝকঝকে তকতকে। কেউ যে তাঁকে ধাক্কা মেরে বা চ্যাংদোলা করে সমুদ্রে ফেলে দিবে, তারও কোনও সম্ভাবনা ছিল না। তবুও, শুধু জলপথেই নয়, আকাশপথেও চালানো হল চিরুনি তল্লাশি। কিন্তু না। কেউ তাঁর কোনও খোঁজ পেলেন না। তার পর দেখতে দেখতে কেটে গেল অনেকগুলো বছর। একদম নিজের দু’-একজন ছাড়া সকলেই প্রায় ভুলতে বসেছিলাম তাঁর কথা। এমন সময় হুট করেই তিনি একদিন ফিরে এলেন সবার মধ্যে। না। দু’-পাঁচ বছর নয়, টানা সতেরো বছর পরে।
এত দিন কোথায় ছিলেন তিনি? তাঁর পরিচিত জনেরা জিজ্ঞেস করতেই তিনি যে উত্তর দিয়েছিলেন, তোমার মতো কেউই তা বিশ্বাস করেননি। তিনি বলেছিলেন, এত দিন তিনি মঙ্গলগ্রহে ছিলেন।
ছেলের কথা শুনতে শুনতে ইমলি বললেন, তাই?
— হ্যাঁ মা, আমার বন্ধুটা আমাকে বলেছে…
— খুব ভাল কথা। নে, এ বার চল। বলেই, যে দিকে তিনি যাচ্ছিলেন, সে দিকেই পা বাড়ালেন ইমলি।
জুরান জিজ্ঞেস করল, এ দিকে কোথায় যাচ্ছ?
— সে তান্ত্রিক-বাবা যাগ্যজ্ঞ করে তোকে ফিরিয়ে এনেছে, তার টাকাটা দিতে হবে না?
তিতার বললেন, না দিতে হবে না। কোনও দরকার নেই। যত্তসব…
— না দিলে পাপ হবে না?
— পাপ?
— রেগে গিয়ে যদি শাপ দেন?
তিতার বিস্মিত হয়ে বললেন, সাপ?
— আরে বাবা, সেই সাপ না। শাপ শাপ, মানে অভিশাপ।
— তুমি না… একেবারে পাঁচশো বছর পিছিয়ে আছ। চলো।
ইমলি বললেন, কোথায়?
— কোথায় আবার? বাড়ির দিকে।
— কিন্তু…
এ বার একটু গলা তুলে রূঢ়স্বরে তিতার বললেন, কোনও কিন্তু নয়। কোনও যাগ্যজ্ঞ, মন্ত্রতন্ত্র নয়, আমরা কী ভাবে ফিরে এসেছি, তা কেবল আমরাই জানি।
— কী ভাবে?
— তোমাকে বললে তুমি কি তা বিশ্বাস করবে?
— না-ই বা করলাম। তবু বলো না…
তিতার পুরো ঘটনাটাই সাজিয়ে-গুছিয়ে একেবারে প্রথম থেকে ইমলিকে বলতে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই, তাঁর চোখের সামনেটা কেমন যেন ঝাপসা-ঝাপসা হয়ে গেল। রুমাল দিয়ে চোখ মুছতেই, শুধু চোখ নয়, সেই মোছার সঙ্গে সঙ্গে যেন তাঁর মাথার ভিতরে থাকা মহাশূন্যের যাবতীয় স্মৃতিই মুছে গেল। তাঁর আর কিছুই মনে পড়ল না।
ছেলের দিকে তাকিয়ে উনি জিজ্ঞেস করলেন, হ্যাঁ রে জুরান, আমরা যেন কী ভাবে ফিরে এলাম?
অবাক হয়ে জুরান উল্টে প্রশ্ন করল, আমরা! ফিরে এলাম! কোত্থেকে!
ইমলি বললেন, অনেক হয়েছে, আর নাটক করতে হবে না। এ বার চলো, খুব খিদে পেয়েছে কিন্তু…
— আমারও পেয়েছে মা…
মা-ছেলের কথা শুনে তিতার বললেন, সবারই যখন খিদে পেয়েছে, তখন আজ আর বাড়ি গিয়ে রান্নাবান্না করার কোনও দরকার নেই। চলো, সামনের সুবলবাবুর রেস্টুরেন্ট থেকে কিছু খাবার কিনে নিয়ে যাই।
— বলছ? তা হলে তাই করো… মুচকি হেসে ইমলি বললেন।
তার পরে তিন জনেই সেই রেস্টুরেন্টের দিকে পা বাড়ালেন। কেউ টেরই পেলেন না, বাপ-ছেলের মহাশূন্যে রওনা হওয়ার খানিক আগে থেকে এই কয়েক মুহূর্ত আগে পর্যন্ত যা যা ঘটেছে, তার সবটুকু ঘটনাই তাঁদের মস্তিষ্কের স্মৃতির ভাণ্ডার থেকে কে যেন কোন্এক অলৌকিক কৌশলে একেবারে ধুয়ে-মুছে সাফ করে দিয়েছে। এমন ভাবে তাঁদের জীবন থেকে এই ঘটনাটাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে যে, শুধু আজ নয়, আর কোনও দিনই তাঁদের মনে পড়বে না, চোরা সুড়ঙ্গ দিয়ে কী ভাবে তাঁরা একদিন মহাশূন্যে গিয়েছিলেন। সময়-কণার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কথা বলেছিলেন।
শুধু ইমলিরই হয়তো মনে থাকবে, তাঁর ছেলে হঠাৎ করে কী ভাবে একদিন উধাও হয়ে গিয়েছিল। ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে কী ভাবে তিনি পার্কের মধ্যে পর-পর অতগুলি জুরানকে একসঙ্গে দেখেছিলেন। ছেলেকে পাবার জন্য খোঁজ করে-করে একদিন এক তান্ত্রিক-বাবার কাছে গিয়েছিলেন।
কিন্তু কথা দিয়েও, সেই তান্ত্রিককে যাগ্যজ্ঞ করার জন্য তাঁর প্রাপ্য আট হাজার টাকাটা শেষ পর্যন্ত তিতারের জন্য তিনি আর দিতে পারেননি।
যখনই এটা মনে পড়বে, তখনই ইমলি হয়তো আঁতকে উঠবেন এটা ভেবে যে, শুধু এই কারণেই তাঁর ছেলে হয়তো আবার একদিন এ ভাবেই হুট করে উধাও হয়ে যাবে। তখন কি সেই তান্ত্রিকের কাছে তাঁর আর যাবার কোনও মুখ থাকবে!
এই সব ভাবতে ভাবতে মাথা নিচু করে ইমলি পায়ে পায়ে এগোতে লাগলেন।
আর সব কিছু বেমালুম ভুলে গিয়ে তাঁর পাশে পাশে হাঁটতে লাগল জুরান আর জারানের বাবা। হাঁটতে লাগল। হাঁটতেই লাগল।
‘মহাশূন্যে জুরান’ শেষ পর্ব
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়।
আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন