নাটোরে আবারো করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা এক ব্যক্তির মরদেহ সৎকার করে দিলেন হিন্দু মহাজোটের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের বড় হরিশপুর কাশিমপুর মহাশ্মশানে মরদেহ সৎকার করা হয়।
হিন্দু মহাজোটের সৎকার কমিটির টিম লিডার লিটন সরকার জানান, ‘আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের শহরতলী কামারপাড়া এলাকা থেকে আমাদের হট নম্বরে ফোন আসে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে নাটোর সদর হাসপাতালে অরুন কুমার সাহা নামে ৬৫ বছর বয়সের এক ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মরদেহ সৎকার করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।’
নাটোর হিন্দু যুব মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি সুজিত কুমার ঘোষ জানান, ‘সংবাদ পাওয়ার পরপরই আমরা নাটোর জেলা হিন্দু মহাজোটের সদস্যসচিব দেবাশীষ সরকার ও জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদের সাথে যোগাযোগ করে মরদেহটি সৎকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
এ সময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন সৎকার কমিটির অন্যতম সদস্য ও নাটোর যুব মহাজোট এর সভাপতি দেবাসিশ সরকার দেবু, সৎকার কমিটির সদস্য ও নাটোর হিন্দু যুব মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি সুজিত কুমার ঘোষ, সরকার কমিটির সদস্য ও নাটোরের যুব মহাজোটের সদস্যসচিব চন্দন কুমার নাগ, বিনোদ বিহারী দাস, সুমন কুমার দাস, নিলয় কুমার হোর সহ অন্যান্যরা।’
হিন্দু মহাজোটের নাটোর জেলার সদস্যসচিব দেবাশীষ কুমার সরকার জানান, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের সৎকার করা নিয়ে তৈরি হচ্ছে নানাবিধ সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানে হিন্দু মহাজোট এগিয়ে আসে। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ প্রামানিক এর ব্যবস্থাপনায়
নাটোরের একদল তরুণ উদ্যমী স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হিন্দু ব্যক্তিদের সৎকার করে দিচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পি পি ও কারিগরি সহায়তা নিয়ে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছেন।’
হিন্দু মহাজোটের নাটোর জেলার আহবায়ক ভাস্কর বাগচী জানান, ‘ইতোমধ্যে নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মৃতদেহ সৎকার করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি এজন্য বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের ভুয়সি প্রশংসা করেন এবং বলেন-
করোনাকালীন সময়ে এই দুর্যোগময় অবস্থা বুঝতে পেরে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এই সৎকার কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। এ জন্য মহাসচিব গোবিন্দ প্রামাণিক কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।’
এদিকে হিন্দু মহাজোটের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী সুবাস সরকার জানান, ‘নাটোরের যেখানেই করোনা আক্রান্ত হয়ে কোন হিন্দু ধর্মালম্বী মৃত্যুবরণ করলে যদি সৎকার করা নিয়ে জটিলতা উৎপন্ন হয় তাহলে ওই মৃত্যু ব্যক্তির সৎকারের জন্য তালিকায় থাকা হট লাইন নম্বরে ফোন দিতে অনুরোধ করা হল।’