সাহিত্যের বিভিন্ন অঙ্গনে রবীন্দ্র প্রতিভার সূর্যসম ব্যাপ্তি আমাদের বিস্মিত মুগ্ধ ও পুলকিত করে।তিনি তাঁর সংগীত,কবিতা,গল্প ,উপন্যাস,প্রবন্ধাবলী ও নাটকের মাধ্যমে যে ভাব ব্যক্ত করেছেন তা আমাদের সমগ্র জাতির চেতনায় এক অভূতপূর্ব অনুকরণীয় চেতনার উন্মেষ ঘটায়।তিনিই একমাত্র বাঙালি যিনি সাহিত্যে এখনো পর্যন্ত এই উপমহাদেশে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। সাহিত্যক্ষেত্রে রবীন্দ্র চেতনার অনন্যতার মতই শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর মতবাদ আমাদের জাতীয় জীবনে এক নতুন ভাবধারার জন্ম দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা ভাবনা আজও আমাদের কাছে অতি প্রাসঙ্গিক বলেই মনে হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শৈশবে যখন শিক্ষাপ্রাপ্ত হচ্ছেন তখন ভারত উপমহাদেশ ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত। ইংরেজদের শিক্ষাচিন্তা অর্থাৎ মেকলের শিক্ষাপদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত।মেকলে ভারতবিদ্যা বা ভারতীয়দের সম্পর্কে খুবই উন্নাসিক ছিলেন।তিনি ভারতীয়দের জ্ঞান বিদ্যা সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন – ‘সারা প্রাচ্যের জ্ঞান ইউরোপের একটি বইয়ের তাকের সমান’। তিনি বলেন ,ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্দেশ্য হবে এমন একটি শ্রেণী তৈরি করা যারা শুধু চামড়ায় হবে ভারতীয় কিন্তু মন মানসিকতায় হবে ইউরোপীয়। এ থেকে বোঝা যায় ইংরেজরা কত সুদীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে ভারতীয়দের মন মানসিকতা পরিবর্তনের কাজে হাত দিয়েছিলেন। ইংরেজরা ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে চলে গেলেও তাদের ঔপনিবেশিক চিন্তা আজও আমাদের মধ্যে প্রবলভাবেই প্রবহমান। রবীন্দ্রনাথ তাঁর শিক্ষার সূচনাকাল থেকে, এই শিক্ষাব্যবস্থার ভয়ঙ্কর রূপ নিজের জীবন অভিজ্ঞতা থেকে উপলব্ধি করেছিলেন।রবীন্দ্রশিক্ষা চিন্তার প্রথম প্রকাশ আমরা দেখতে পাই ১৮৭৭ সালে। যখন তার বয়স মাত্র ১৬ বছর।মাইকেল মধুসূদন দত্তের মেঘনাদবধ কাব্যের একটি সমালোচনা লিখতে গিয়ে তিনি লেখেন – “বঙ্গদেশে এখন এমনি সৃষ্টিছাড়া শিক্ষা প্রণালী প্রচলিত হইয়াছে যে তাহাতে শিক্ষিতেরা বিজ্ঞান দর্শনের কতগুলি বুলি এবং ইতিহাসের সাল ঘটনা ও রাজাদিগের নামাবলি মুখস্ত করিতে পারিয়াছেন বটে কিন্তু তাহাতে তাহাদের রুচির উন্নতি হতে পারে না, তাই তারা স্বাধীনভাবে চিন্তা করিতেও শিখেন নাই।”
শিক্ষাকে রবীন্দ্রনাথ দেখেছেন প্রযুক্তি হিসেবে। তোতাপাখির শিক্ষাকে তিনি বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। সুপারিশ করেছেন মুক্ত প্রকৃতির সান্নিধ্যে আনন্দদায়ক শিক্ষার কথা। শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চিত্তে মনুষত্ববোধ ও বিশ্বচেতনা জাগ্রত করাই রবীন্দ্র শিক্ষা। তিনি ছিলেন সমন্বয়ী শিক্ষা দার্শনিক।শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থার সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করেছেন।শিক্ষা লাভ করে শিক্ষার্থী যাতে মানবিক পুঁজিতে রূপান্তরিত হতে পারে সেদিকে রবীন্দ্রনাথ বিশেষভাবে সচেষ্ট ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা দর্শনের প্রেক্ষাপট, তার প্রাসঙ্গিকতা এখন বেশি মাত্রায় অনুভূত হচ্ছে।সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের শিক্ষা হয়ে উঠেছে পণ্য। শিক্ষাকে পণ্য বানিয়ে লক্ষীর ভান্ডার পূর্ণ হতে পারে বটে কিন্তু সরস্বতী যান পালিয়ে।এখনও আমাদের কাছে যথার্থ শিক্ষার মূল্যায়নে রবীন্দ্রনাথ অপরিহার্য। বৃহৎ ভাবে উদ্যমশীল এক জীবনের জন্য অবশ্যই বিদ্যাকে প্রাণের মধ্যে আয়ত্ত করতে হবে। তিনি পুঁথিগত বিদ্যা নয়, জীবনের সাথে জীবনকে যোগ করে তার শিক্ষা ভাবনার মূল্যায়ন করেছেন। তাই বলেছেন – “মানুষ মানুষের কাছ হইতেই শিখিতে পারে যেমন জলের দ্বারাই জলাশয় পূর্ণ হয়, শিখার দ্বারাই শিখা জ্বলিয়া উঠে, প্রাণের দ্বারাই প্রাণ সঞ্চারিত হইয়া থাকে, মানুষকে ছাটিয়া ফেলিলে সে তখন আর মানুষ থাকে না – সে তখন অফিস-আদালতের বা কলকারখানার প্রয়োজনীয় সামগ্রী হইয়া উঠে, তখনই সে মানুষ না হইয়া মাস্টারমশাই হইতে চায়, তখনই সে আর প্রাণ দিতে পারে না কেবল পাঠ দিয়া যায়।” (লক্ষ্য ও শিক্ষা) প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে তিনি ‘কেরানিগিরি’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন যে এই শিক্ষা মানুষকে সৃজনশীল করে না। তাই তরুণদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন ‘এখানে নোটের নুড়ি কুড়িইয়া ডিগ্রির বস্তা বোঝাই করিয়া তুলিতেছে, কিন্তু তাহা জীবনের খাদ্য নহে।’ (লক্ষ্য ও শিক্ষা)
বাস্তবিকই আজও আমরা আমাদের তথাকথিত শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে জীবনের খাদ্য পাই না। বর্তমান ছাত্র সমাজকে আমরা এক চূড়ান্ত অবক্ষয়িত অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দেখি। তাদের মধ্যে অনেক সময় নিজস্ব সভ্যতা, সমাজ-সংস্কৃতির প্রতি,জাতি ও জাতীয়তার প্রতি শ্রদ্ধার অভাব লক্ষিত হচ্ছে।
শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। কারণ এই ভাবেই চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটে। বিজাতীয় ইংরেজি ভাষায় তা সম্ভব নয়।তাই বলেছেন – “ছেলে যদি মানুষ করিতে চাই, তবে ছেলেবেলা হইতে তাহাকে মানুষ করিতে আরম্ভ করিতে হইবে, নতুবা সে ছেলেই থাকিবে মানুষ হইবে না। শিশুকাল হইতেই স্মরণশক্তির উপর সমস্ত ভর না দিয়া সঙ্গে সঙ্গে সমপরিমাণে চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তির স্বাধীন পরিচালনার অবসর দিতে হইবে। সকাল হইতে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেবলই লাঙ্গল দিয়ে চাষ এবং মই দিয়া ঢেলাভাঙা, কেবলই ঠেঙা লাঠি ,মুখস্ত এবং একজামিন – আমাদের এই ‘মানব জনম’ আবাদের পক্ষে আমাদের এই দুর্লভ ক্ষেত্রে সোনা ফলাইবার পক্ষে যথেষ্ট নহে।” (শিক্ষার হেরফের)
জাতীয় বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাকালের ভাষণে বলেছেন “শিক্ষা দ্বারা আমরা পূর্ণ পরিণত হইবো। আমরা যে ইংরেজি লেকচারের ফনোগ্রাফ, বিলিতি অধ্যাপকের শিকল-বাঁধা দাঁড়ের পাখি হইবো না এই একান্ত আশ্বাস হৃদয়ে লইয়া আমি আমাদের নতুন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিদ্যামন্দিরকে আজ প্রণাম করি।এ খানে ছাত্রগণ যেন শুধুমাত্র বিদ্যা নহে, তাহারা যেন শ্রদ্ধা, যেন নিষ্ঠা, যেন শক্তি লাভ করে – তাহারা যেন অভয় প্রাপ্ত হয়, দ্বিধাবর্জিত হইয়া তাহারা যেন নিজেকে লাভ করিতে পারে, তাহারা অস্থিমজ্জার মধ্যে উপলব্ধি করে –
সর্ব পরবশং দুঃখং,সর্বমাত্মবশং সুখম্ ।”
যথার্থ ধীশক্তি মন্ডিত জ্ঞানলাভই ছিল তাঁর কাছে প্রকৃত শিক্ষা।
মানবজীবনের সমগ্র আদর্শকে জ্ঞান ও কর্মে পূর্ণ করে উপলব্ধি করাই শিক্ষার উদ্দেশ্য। তিনি নিজে শিক্ষকতা করতেন।শিক্ষাকে তিনি অনায়াসে অর্জনের বিষয়ে করে তোলেন নি। ছাত্ররা যাতে শক্ত বিষয়, বড় বড় কথা বুঝতে পারে তার ব্যবস্থাও করতেন। একবার এক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রকে Ruskin এর বই পড়িয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ শুধু ঔপনিবেশিক শিক্ষা দর্শনের বিরোধিতাই করেননি পাশাপাশি এই শিক্ষাদর্শনের বিপরীতে নিজস্ব শিক্ষাদর্শন প্রতিষ্ঠা করার জন্য শান্তিনিকেতন আশ্রম গড়ে তোলেন। আজও এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অবদানের সাক্ষী বহন করেছে।
প্রাচীনকালে তপোবনে ব্রহ্মচর্য পালনের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হতো। এইটি তাঁর কাছে মানব শিশুর পূর্ণতা বিকাশের উৎকৃষ্ট পন্থা বলে মনে হয়েছে। তিনি বলেছেন “প্রবৃত্তির অকালবোধন এবং বিলাসিতার উগ্র উত্তেজনা হইতে মনুষ্যত্বের নবোদ্গমের অবস্থাকে স্নিগ্ধ করিয়া রক্ষা করাই ব্রহ্মচর্য পালনের উদ্দেশ্য।” শিক্ষাক্ষেত্রে নীতি উপদেশ তিনি পছন্দ করেন নি। বলেছেন “সংসারে কৃত্তিম জীবনযাত্রায় হাজার রকমের অসত্য ও বিকৃতি যেখানে প্রতি মুহূর্তে রুচি নষ্ট করিয়া দিতেছে সেখানে ইস্কুলে দশটা চারটার মধ্যে গোটা কতক পুঁথির বচনে সমস্ত সংশোধন করিয়া দিবে ইহা আশাই করা যায় না। ইহাতে কেবল ভুরিভুরি ভানের সৃষ্টি হয় এবং নৈতিক জ্যাঠামি যাহা সকল জ্যাঠামির অধম,তাহা সুবুদ্ধির স্বাভাবিকতা ও সৌকুমার্য নষ্ট করিয়া দেয়।’ শুধু ব্রহ্মচর্য পালনই নয় ব্রহ্মচর্য পালনের সঙ্গে ছাত্রজীবনে বিশ্ব প্রকৃতির সান্নিধ্য থাকা উচিত বলে মনে করতেন। বলেছেন – “মন যখন বাড়িতে থাকে তখন তাহার চারিদিকে একটা বৃহৎ অবকাশ থাকা চাই।বিশ্ব প্রকৃতির মধ্যে সেই অবকাশ বিশালভাবে, বিচিত্রভাবে ,সুন্দরভাবে বিরাজমান।… আমাদের অক্ষমতা ও বর্বরতাবশত জ্ঞানশিক্ষাকে যদি আনন্দজনক করিয়া না তুলিতে পারি তবু চেষ্টা করিয়া, ইচ্ছা করিয়া ,নিতান্ত নিষ্ঠুরতাপূর্বক নিরপরাধ শিশুদের বিদ্যাগারকে কেন আমরা কারাগারের আকৃতি দিই। শিশুদের জ্ঞানশিক্ষাকে বিশ্বপ্রকৃতির উদার রমণীয় আকাশের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত করিয়া তোলাই বিধাতার অভিপ্রায় ছিল। সেই অভিপ্রায় আমরা যে পরিমাণে ব্যর্থ করিতেছি সেই পরিমাণেই ব্যর্থ হইতেছি।” তার মতে – “আদর্শ বিদ্যালয় যদি স্থাপন করিতে হয় তবে লোকালয় হইতে দূরে নির্জনে মুক্ত আকাশ ও উদার প্রান্তরে গাছপালার মধ্যে তার অবস্থান চাই। সেখানে অধ্যাপকগণ নিভৃতে অধ্যায়ন ও অধ্যাপনায় নিযুক্ত থাকবেন এবং ছাত্রগণ সেই জ্ঞানচর্চার যজ্ঞক্ষেত্রের মধ্যে বাড়িয়া উঠিতে থাকিবে।” রবীন্দ্রনাথের এই চিন্তাধারাই শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি।১৯০১ সালে শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠা হয়েছে।তিনি বলছেন – “আমার একান্ত ইচ্ছা ছিল যে এখানকার এই প্রভাতের আলো, শ্যামল প্রান্তর ,গাছপালা যেন শিশুদের চিত্ত স্পর্শ করতে পারে। কারণ প্রকৃতির সাহচর্যে তরুণ চিত্তে আনন্দ সঞ্চারের দরকার আছে । এই উদ্দেশ্যে আমি আকাশ আলোর অঙ্কশায়ী উদার প্রান্তরে এই শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করেছিলুম।” রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন আশ্রমে শিক্ষাদান পদ্ধতির কতকগুলি প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল। যেমন ‘সাম্য’ – জাতি ধর্মের পার্থক্য এখানে করা হয়নি। সরল জীবনযাপন। উচ্চ চিন্তা এবং সরল জীবনযাপন শান্তিনিকেতনের শিক্ষা পদ্ধতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।অবাধ স্বাধীনতা যেমন শ্রেণীকক্ষ নয় মুক্ত পরিবেশে শিক্ষাদান। গৃহপরিবেশ,সহপাঠ, ভারতীয় কৃষ্টি ও আধ্যাত্মিকতা ও মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা। তিনি মনে করতেন যথার্থ শিক্ষা মাতৃভাষার মাধ্যমে সম্ভব।তবে মাতৃভাষা ছাড়াও অন্যান্য ভাষা শিক্ষাকে তিনি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছেন – হিন্দি, উর্দু, সংস্কৃত ও পালি প্রাকৃত, আরবি, ফারসি ভাষা শিক্ষার কথাও তিনি বলেছেন। বৃহত্তর প্রাচ্য সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য তিনি তিব্বতি এবং চীনা ভাষা আয়ত্বের কথাও বলেছেন। সর্বোপরি ইংরেজি ভাষা আয়ত্বের কথাও বলেছেন।তার চিন্তা,চেতনা ও জীবন দর্শনের লক্ষণীয় বিষয় হল বিশ্বচেতনা। এই বিশ্ব চেতনার বাস্তব প্রতিফলন হচ্ছে ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী।রবীন্দ্রনাথের চিন্তা ভাবনায় দেখা যাচ্ছে তিনি চেয়েছিলেন বিশ্বভারতীতে পৃথিবীর সকল জ্ঞানের সমন্বয় ঘটবে।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এখানে জ্ঞান লাভের মাধ্যমে এক বিশ্বাত্মবোধের সৃষ্টি হবে।
রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা ভাবনার মৌলিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি যেমন দেশীয় শিক্ষানীতিকে সমকালের উপযোগী করেছেন তেমনি নিজের ভাবনার সঙ্গে মিলে গেলে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদদের ভাবনাকেও কাজে লাগিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাচিন্তার মূল স্বরূপ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় তিনি ছিলেন পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাদার্শনিক। আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাতত্ত্বের উদ্ভাবক। ভারতের শিক্ষা ও কৃষ্টির সঙ্গে পাশ্চাত্যের শিক্ষাবিজ্ঞানের সমন্বয় ঘটিয়ে রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টি করেছিলেন তার অমর শিক্ষাতত্ত্ব। এই বিষয়ে তার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।