নাটোরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)’র সড়ক নির্মাণে অনিয়ম ও শর্তভঙ্গ করায় স্ব-প্রণোদিত হয়ে মামলা করছে আদালত। শুক্রবার বিকালে নাটোর চীফ জুডিশিয়াল আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেহেদী হাসান নিজেই স্ব-প্রণোদিত হয়ে মামলা করেন।
সড়ক নির্মাণে অনিয়মের সাথে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে, ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করার জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া একই প্রতিবেদনের আলোকে পৃথক ঘটনায় আলাদা দুইটি মামলা গ্রহণের নির্দেশও দেয়া হয়েছে আদেশে। একই ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সিংড়া এবং লালপুর উপজেলা প্রকৌশলীকে তদন্তে সার্বিক সহায়তা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, গত ৯ আগষ্ট বেসরকারী বৈশাখী টেলিভিশনের নাটোর প্রতিনিধি ইসাহাক আলীর প্রতিবেদনে সড়ক নির্মাণের নানা দিক নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে। সেখানে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সাক্ষাতকার ও কর্মকর্তাদের সাক্ষাতকার সহকারে প্রতিবেদনে প্রতীয়মান হয়েছে।
ঠিকাদারগণ ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে বুঝে রাস্তার কাজে অনিয়ম করে সরকারী সড়কের ক্ষতি ও কার্যাদেশের শর্ত ভঙ্গ করে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন যা দন্ডনীয় অপরাধ। এজন্য আলাদা ভাবে তদন্ত করে ক্ষতির পরিমাণ, জড়িতদের নাম ঠিকানা নিরুপনের প্রয়োজন। তাই বিস্তর তদন্তের জন্য পিবিআই পুলিশ সুপার নাটোরকে নির্দেশ দেন আলাদত।
এর আগে গত ৯ আগস্ট নাটোরের লালপুরের কদিমচিলান ইউনিয়নের গোধরা এলাকা ও সিংড়ার চৌগ্রাম ইউনিয়নের বড়িয়া এলাকাসহ জেলার আরো কয়েকটি রাস্তা নির্মাণে দরপত্র অনুযায়ী কাজ না করে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।
এবিষয়ে নাটোর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের আদেশের কপি এখনও হাতে পায়নি। কপি পেলে তদন্ত সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।’
নাটোর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘আদেশের কপি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’