২০১৬ সালে ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে আপত্তি জানিয়ে ‘অবিন্তা কবীর ফাউন্ডেশন’ এর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মিতি সানজানা বলিউডের টি-সিরিজ চলচ্চিত্র প্রযোজনা কোম্পানিকে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় নিহত হন ফারাজ আইয়াজ হোসেন। এ জঙ্গি হামলা নিয়ে সম্প্রতি বলিউডে ফারাজ নামে একটি সিনেমা বানানোর ঘোষণা দিয়েছে টি-সিরিজ চলচ্চিত্র প্রযোজনা কোম্পানি।
সিনেমাটি পরিচালনা করার কথা পরিচালক হানসাল মেহতার। সিনেমাটি প্রযোজনা করবেন ভূষণ কুমার ও অনুভব সিনহা।
তবে হোলি আর্টিজানের ঘটনা নিয়ে সিনেমা না বানাতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, পরিচালক ও দুই প্রযোজককে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশের ‘অবিন্তা কবীর ফাউন্ডেশন’।
অবিন্তা কবীর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও এর সাধারণ সম্পাদক রুবা আহমেদের পক্ষে ল ফার্ম ‘লিগ্যাল কাউন্সেল’ থেকে গত ৯ আগস্ট এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিতি সানজানা।
২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজানের ওই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অবিন্তা কবীর। তার নামেই এই ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন অবিন্তার মা রুবা আহমেদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হোলি আর্টিজানের ঘটনায় একমাত্র সন্তান অবিন্তাকে হারিয়ে তার মা রুবা আহমেদ ও পুরো পরিবার প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিন যাপন করছেন। অবিন্তার মা ও তার পরিবার ঘটনাটি প্রতিনিয়ত ভুলে থাকার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। হোলি আর্টিজানকে কেন্দ্র করে কোনোরূপ কনটেন্ট নির্মাণের মাধ্যমে সেসব ঘটনা আবার জনগণের মধ্যে প্রচার করলে তা কেবল সেই দুর্ঘটনার করুণ এবং কষ্টদায়ক স্মৃতিগুলোকেই আবার জাগিয়ে তুলবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এ ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হলে তা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম নষ্ট করবে যার নেতিবাচক প্রভাব গোটা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে চরম ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে।
তা ছাড়া এ ধরনের চলচ্চিত্র নির্মিত হলে তা বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে একটি সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে চিত্রিত করবে, যা আদতে সত্যি নয়। তাই এমন ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তা সত্ত্বেও যদি কেউ এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, তাহলে আইন লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ভারতীয় আদালতে প্রতিনিধির মাধ্যমে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।