আবারও মানবিক ভুমিকায় দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের সাউথ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং ট্রাফিক পুলিশকে। ট্রাফিক সামলানোর পাশাপাশি অভিযোগ পেয়ে মাত্র ২০ মিনিটে উদ্ধার করলো হারিয়ে যাওয়া প্রয়োজনী মূলবান কাগজপত্র, দামী মোবাইল এবং টাকার ব্যাগ এবং ফিরিয়ে দিলেন আসল ব্যক্তিকে। ঘটনাস্থল ক্যানিং থানার অন্তর্গত মাতলা ব্রীজ সংলগ্ন রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশ।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে আচমকা এক মহিলা তার পুত্র সন্তান কে কোলে নিয়ে ফুলজান বিবি নামে এক মহিলা উদভ্রান্ত হয়ে এসে হাজীর হয় কর্তব্যরত ক্যানিং ট্রাফিক ওসি দেবব্রত সরদারের কাছে। বিস্তর কান্নাকাটি করে জানায় তার একটি ব্যাগ হারিয়ে গেছে অটোর মধ্যে। ব্যাগের মধ্যে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড,দামী মোবাইল ফোন, টাকা সহ বেশকিছু মূল্যবান কাগজ পত্র রয়েছে। তিনি বাসন্তীর ভাঙনখালীর খেড়িয়া থেকে অটোয় চেপে বসেছিলেন। নেমেছিলেন বাসন্তীর ডকঘাট এলাকার শিমূলতলা মোড়ে। অটো ছেড়ে দেওয়ার পরই জানতে পারেন তার ব্যাগ অটোর মধ্যেই রয়েই গেছে। কি করবেন ভেবে উঠতে পারছেন না। সেখান থেকে ওই মহিলা সোজা চলে আসে ক্যানিংয়ের রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশে। পুলিশে অভিযোগ জানানোর অনেক আগেই অবশ্য অটোটি যাত্রী নামিয়ে দাঁড়িয়েছিল রবীন্দ্র মূর্তির
পাদদেশ সংলগ্ন অটোষ্ট্যান্ডে।ক্যানিং ট্রাফিক ওসি জানতে পারেন অটোর কোন এক যাত্রী ব্যাগটি হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এরপর ট্রাফিক ওসি দেবব্রত সরদার অতি তৎপরতার সাথে খোঁজ করতে থাকে অপরিচিত ওই অটোযাত্রীর। কোনপ্রকার নাগাল না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ওই মহিলার ব্যাগে রাখা ফোনে ফোন করেন। দু-চারবার ফোন করার পর ওই অপরিচিত যাত্রী ফোন রিসিভ করে। ফোনে ট্রাফিক ওসির কন্ঠ শুনে ভয় পেয়ে যায় ওই যাত্রী। ব্যাগ ফেরত দিতে সম্মতি জানায়। ক্যানিং হাসপাতাল মোড় থেকে অক্ষত অবস্থায় হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার করে ক্যানিং ট্রাফিক পুলিশ। পুলিশের তৎপরতায় মিনিট কুড়ির মধ্যে হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী পেয়ে খুশি ফুলজান বিবি।
তিনি পুলিশের এমন কর্মকান্ড কে প্রশংসা জানিয়ে বলেছেন, “পুলিশ যে এত মানবিক তা জানা ছিল না। অসংখ্য ধন্যবাদ ট্রাফিক ওসিকে।”
অন্যদিকে ক্যানিং ট্রাফিক ওসি দেবব্রত সরদার জানিয়েছেন, “পুলিশ তার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করেছে মাত্র।“