ক্ষুদিরামের ফাঁসি

অবশেষ দাস
অবশেষ দাস
8 মিনিটে পড়ুন
বিপ্লবী ক্ষুদিরাম। ছবি: সংগৃহীত

১৯০৮ খ্রী: ১লা মে সকাল ৯:০০ টায় বিপ্লবী ক্ষুদিরাম পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন। তাঁর সতীর্থ, সহযোদ্ধা বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকী মজ্ফরপুর শহর থেকে ৩২ মাইল দূরবর্তী সমস্তিপুরে পালিয়ে গেলেন। এই সময় প্রবাহে দুইজন বীর বিপ্লবী বাঙালি জাতির গৌরব ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকীর জীবন-তরঙ্গ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঢেউকে এক চরম অভিঘাতের দিকে ঠেলে দেয়, যা বৃহত্তর আন্দোলনের পটভূমি গড়ে তোলে।

কিংসফোর্ডকে হত্যা করার পরিকল্পনা বেশ কিছুদিন ধরে চলছিল। ২৮ এপ্রিল ১৯০৮ খ্রী: প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম বসু কিংসফোর্ডের আদালতে গেলেন হত্যার পরিকল্পনাকে চূড়ান্ত রূপ দেবার জন্য। সেদিন আদালত ও এজলাস নিত্যদিনের মত ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল। আদালতে সমবেত লোকজনের ভিড়ের মধ্যে দু’জন মিশে ছিল। ওদের মনে সেই একই চিন্তা – আদালতেই বোমা চার্জ করলে কেমন হয়! বিবেকসম্পন্ন দুই বিপ্লবী সিদ্ধান্ত নেন, আদালতে বাদী-বিবাদী, উকিল, মোক্তার মুহুরীসহ লোকজনের ভিড়ে আদালত কক্ষ পরিপূর্ণ। বোমা বিস্ফোরণ ঘটলে কিংসফোর্ড একা মরবে না বহু নিরাপরাধ মানুষও প্রাণ হারাবে। এজন্যে তাঁরা সেদিন বুকের আগুন বুকে রেখেই ফিরে আসেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা কিংসফোর্ডকে হত্যা করবার জন্য ১৯০৮ খ্রী: ৩০ এপ্রিল চূড়ান্ত দিন ধার্য করেন। অমাবস্যার রাত, পথ-ঘাট অন্ধকার থাকবে। আত্মগোপন করতেও অসুবিধা হবে না। ঘটনার দিনে ক্ষুদিরাম ও সঙ্গী প্রফুল্ল ইউরোপীয়ান ক্লাবের অদূরে একটা প্রকান্ড গাছের আড়ালে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় প্রহর গুন ছিল। কিংসফোর্ডকে তাঁরা হত্যা করবেই, ওঁদের চোখে মুখে অধীর প্রতীক্ষা। ক্লাব ঘরের আলো ঝলমল করছে, বিলাসিতার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। নারী আর সুরা। কুখ্যাত জেলা জর্জ কিংসফোর্ডের জন্য পিস্তল ও বোমা নিয়ে দুজনেই প্রস্তুত। ঘন অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দুই বিপ্লবী দেখতে পেলেন কিংসফোর্ডের সহিস কালীরাম ক্লাব ঘরের গেট দিয়ে বেরিয়ে আসছে। চোখের পলক পড়তে না পড়তেই পরিচিত ফিটন গাড়িটা একেবারে নাগালের মধ্যে চলে আসে। ততক্ষণে দুজনের রক্তে দাবানল বইছে। মুহূর্তের মধ্যে বোমা নিক্ষেপ। শুধু ধোঁয়া রাশি রাশি কুন্ডলীকৃত। বারুদের গন্ধ আর অন্ধকারের ভেতর থেকে গর্জে ওঠে, বন্দে মাতারম্ বন্দে মাতারম্ বন্দে মাতারম্….

কিংসফোর্ড মরলেন না, কিন্তু বৃটিশ বিচার ব্যবস্থার প্রতি ভারতীয়দের ক্ষোভের আগুন কতটা জ্বলে উঠেছে, তা বুঝতে প্রশাসনের কোনো অসুবিধা হয়নি। রীতিমত চারিদিকে জাল পেতে বৃটিশ প্রশাসন ক্ষুদিরামকে গ্রেপ্তার করে।

প্রফুল চাকী আত্মহত্যা করলেও ব্রিটিশ বিচারক মি: কনডর্ফ বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরামের জন্য ফাঁসির বিচারে সই করবার পর নিয়ম অনুযায়ী কলম ভেঙে দিলেন। তিনি কয়েক মূহুর্ত মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ক্ষুদিরামের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। ক্ষুদিরামের মুখে তখন অদ্ভূত এক হাসি আর দিগ্বিজয়ী আত্মপ্রত্যয়। ক্ষুদিরামের বয়স খুবই অল্প। তাই বিচারক কনডর্ফ কৌতূহলী প্রশ্ন করেছিলেন, “ও আদৌ বুঝতে পেরেছে তো যে ওকে ফাঁসিতে মরতে হবে?”

- বিজ্ঞাপন -

স্বদেশ ছিল ক্ষুদিরামের কাছে গর্ভধারিনী মা। পরধীনতার শৃঙ্খল উন্মুক্ত করে জন্মভূমিকে তিনি স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন। দেশের প্রত্যেকটা মানুষের হাতে সার্বভৌম ভারতবর্ষ উপহার দিতে চেয়েছিলেন। আর চেয়েছিলেন সর্বস্তরের মানুষের স্বাধীনতা। ফাঁসির রায় ঘোষণার পর মেদিনীপুরের এই অবিস্মরণীয় বিপ্লবী জীবনের শেষদিন গুলি মাৎসিনি, গ্যারিবল্ডি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা পড়তে চেয়েছিলেন। আইনজীবী সতীশচন্দ্র চক্রবর্তীকে ফাঁসির ঠিক আগের দিন তিনি অবিস্মরণীয় এক মন্তব্য করেছিলেন, “রাজপুত নারীরা যেমন নির্ভয়ে আগুনে ঝাঁপ দিয়া জওহরব্রত পালন করিত, আমিও তেমন নির্ভয়ে দেশের জন্য প্রাণ দিব। আগামীকাল আমি ফাঁসির আগে চুতুর্ভুজার প্রসাদ খাইয়া বধ্যভূমিতে যাইতে চাই।” (১০ আগষ্ট, ১৯০৮)

ক্ষুদিরামের শেষ ইচ্ছা শুনে ইংরেজদের বুক কেঁপে গিয়েছিল। কারাগারের অন্ধকারে চড়কির মতো পাক খেতে খেতে জন্মভূমির জন্য সশস্ত্র সংগ্রামকে তিনি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সীমাহীন প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বিস্ফোরক এক উক্তি করেছিলেন, “আমি বোমা বানাতে জানি। ব্রিটিশদের অনুমতি পেলে সেই বিদ্যা বাংলার অন্যান্য যুবকদের শিখিয়ে দিয়ে যাব।” বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রত্যাশা তাঁর পূরণ হয়নি, কিন্তু প্রায় উনিশ বছরের হত দরিদ্র ঘরের ছেলেটা নিজেই এক বারুদের গোলা হয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন, এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্ম। উত্তাল হয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলন।

তাঁর নামে সারা ভারতবর্ষ আন্দোলিত। বিপ্লবের ঢেউ সারা দেশে সুনামির মতো আছড়ে পড়তে চাইছে। জন্মের পরই ছেলে মারা যাবে, এই অন্ধবিশ্বাসে তাঁর মা তিন মুঠো ক্ষুদের বিনিময়ে তাঁকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন মাসির কাছে। সেই ক্ষুদিরাম শেখালেন দেশের মান-ইজ্জত সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের হাতে বিক্রি করা যাবে না। আত্মবলিদানের সময় ক্ষুদিরামের বয়স ছিল ১৮ বছর ৮ মাস। বিপ্লবী ক্ষুদিরামের আইনজীবী ১৯০৮ খ্রী: ১১ আগস্টের চাক্ষুস বর্ণনা দিয়েছেন। “ভোর ছয়টায় ফাঁসি হইবে, পাঁচটার সময় আমি খাটিয়া খানি ও সৎকারের বস্ত্রাদি লইয়া জেলের ফটকে উপস্থিত হইলাম। দেখিলাম নিকটবর্তী রাস্তা লোকারণ্য, ফুল লইয়া বহুলোক দাঁড়াইয়া আছে। আমরা জেলের ভিতর প্রবেশ করিলাম। ঢুকিতেই এক পুলিশ কর্মী বলিলেন যান ভিতরে। জেলের আঙিনায় প্রবেশ করে আমরা দেখিলাম, ডানদিকে একটু দূরে ১৫ ফুট উঁচুতে ফাঁসির মঞ্চ। দুইদিকে দুটি খুঁটি আর একটা মোটা লোহার রড, তাঁরই মধ্যস্থানে বাঁধা মোটা এক গাছি দড়ি, শেষপ্রান্তে একটি ফাঁস। একটূ অগ্রসর হতেই দেখিলাম চারজন পুলিশ ক্ষুদিরামকে নিয়ে আসছে। ক্ষুদিরাম আগে আগে দ্রুতপদে আসিয়া যেন পুলিশগুলোকে টেনে আনছেন। আমাদের দেখিয়া ক্ষুদিরাম হাসিল। তারপর দৃঢ়ভাবে মঞ্চের দিকে অগ্রসর হইল। মঞ্চে উপস্থিত হইলে তাহার হাত দু-খানি পিছন দিকে আনিয়া দড়ি দিয়ে বাঁধা হইল। একটি সবুজ রঙের পাতলা টুপি দিয়ে তাহার গ্রীবামূল অবধি ঢাকিয়া গলায় ফাঁসি লাগাইয়া দেওয়া হইল। ক্ষুদিরাম সোজা হয়ে দাঁড়াইয়া রহিল। উডম্যান সাহেব ঘড়ি দেখে একটি রুমাল উড়িয়ে দিলেন। একজন প্রহরী মঞ্চের অন্যপ্রান্তে একটি হ্যান্ডেল টানিয়া দিল। ক্ষুদিরাম নীচে অদৃশ্য হয়ে গেল। কেবল কয়েক সেকেন্ড ধরিয়া উপরের দড়িটি নড়িতে লাগিল।তারপর সব স্থির। আধ ঘন্টা পর দুজন বাঙালী ডাক্তার আসিয়া খাটিয়া ও নতুন বস্ত্র নিয়ে গেল। নিয়ম অনুসারে ফাঁসির পর গ্রীবার পশ্চাৎদিক অস্ত্র করিয়া দেখা হয়। পড়বার পর মৃত্যু হইল কিনা। ডাক্তার সেই অস্ত্র কাটবার স্থান সেলাই করিয়া, ঠেলিয়া বাহির হওয়া জিহ্বা ও চক্ষু যথাস্থানে বসাইয়া নতুন কাপড় পরাইয়া জেলের বাহিরে আনিলেন। “

বলাবাহুল্য, ক্ষুদিরামের বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার ইচ্ছা এক কথায় বাতিল করে দেবার পর ক্ষুদিরাম তাঁর দিদিকে একবার দেখতে চেয়েছিলেন। তাঁর সেই ইচ্ছাপূরণ হয়নি। কারণ স্বামীর অনুমতি না পেয়ে অপরূপা দেবী ক্ষুদিরামকে দেখতে যেতে পারেননি। কিন্তু, ক্ষুদিরামের পাতানো দিদি জুবেদা খাতুন তার ইচ্ছাটুকু পূরণ করেছিলেন। তিনিই ক্ষুদিরামের মামলার সব খর‌চ দিয়েছিলেন। সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে মজফ্করপুরে ক্ষুদিরামের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেছিলেন।

পুষ্পমাল্য, ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভূষিত হবার যোগ্য বিপ্লবীর গলায় ইংরেজদের নির্দয় জল্লাদ যখন ফাঁসির দড়ি পরাচ্ছিলেন, সাহসী ক্ষুদিরাম প্রশ্ন করেছিলেন, ফাঁসির দড়িতে মোম দেওয়া হয় কেন? এটাই ছিল তার শেষ কথা।

- বিজ্ঞাপন -

মৃত্যুর ১১৩ বছর পরেও বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরামের প্রতি দেশের মানুষের সর্বজয়া গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তি আজও আলোড়ন তৈরি করে। বিপ্লবের ইতিহাস তাঁর নামেই উচ্চারিত হয়। তাঁকে সামনে রেখে অগ্নিযুগে জন্ম নিয়েছে, একের পর এক স্বাধীনতা সংগ্রামী। বিপ্লবী ক্ষুদিরাম স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে চিরজাগ্রত এক নক্ষত্র। ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার দিকে চোখ রাখলেই রাম রহিম খ্রিষ্ট সব মিলেমিশে এক হয়ে যায়। বিপ্লবী ক্ষুদিরামের অবয়ব তেরঙা পতাকার ভেতর সূর্যের মতো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সারাদেশ জুড়ে যখন মূল্যবোধের আকাল, সামাজিক অবক্ষয়ের রমরমা, মনুষ্যত্ব লাঞ্চিত তখনই প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখার মতো ক্ষুদিরামের আদর্শ, আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম আমাদের সামনে বিবেক হয়ে ধরা দেয়।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
জন্ম: দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা। বাবা গৌরবরণ দাস এবং মা নমিতা দেবী। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পাশাপাশি তুলনামূলক ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা। দুটোতেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। এছাড়া মাসকমিউনিকেশন নিয়েও পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিদ্যানগর কলেজের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক। প্রথম লেখা প্রকাশ 'দীপশিখা' পত্রিকার শারদ সংখ্যায়। তাঁর কয়েকটি কবিতার বই: মাটির ঘরের গল্প ( ২০০৪), কিশোরবেলা সোনার খাঁচায় (২০১৪), হাওয়ার নূপুর (২০২০) সহ অজস্র সংকলন ও সম্পাদিত গ্রন্থ প্রকাশিত হওয়ার আগেই তিনি একজন প্রতিশ্রুতিমান কবি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। কবিতা চর্চার পাশাপাশি প্রবন্ধ ও কথাসাহিত্যের চর্চা সমানভাবে করে চলেছেন। কবি দুই দশকের বেশি কাল ধরে লেখালেখি করছেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও সংকলনে। বেশকিছুদিন সম্পাদনা করেছেন ছোটদের 'একতারা' সাহিত্য পত্রিকা। এছাড়া আমন্ত্রণমূলক সম্পাদনা করেছেন বহু পত্র-পত্রিকায়। তিনি গড়ে তুলেছেন শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক দুটি অন্যধারার প্রতিষ্ঠান 'বাংলার মুখ' ও মেনকাবালা দেবী স্মৃতি সংস্কৃতি আকাদেমি।' তাঁর গবেষণার বিষয় 'সুন্দরবনের জনজীবন ও বাংলা কথাসাহিত্য।' পাশাপাশি দলিত সমাজ ও সাহিত্যের প্রতি গভীরভাবে মনোযোগী। ফুলের সৌরভ নয়, জীবনের সৌরভ খুঁজে যাওয়া কবির সারা জীবনের সাধনা। সবুজ গাছপালাকে তিনি সন্তানের মতো ভালবাসেন। সুন্দরবন তাঁর কাছে আরাধ্য দেবী। সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন অজস্র পুরস্কার ও সম্মান: সুধারানী রায় স্মৃতি পুরস্কার (২০০৪), বাসুদেব সরকার স্মৃতি পদক (২০০৬), রোটারি লিটারেচার অ্যাওয়ার্ড (২০০৬), ১০০ ডায়মণ্ড গণসংবর্ধনা (২০০৮), পাঞ্চজন্য সাহিত্য পুরস্কার (২০১০), শতবার্ষিকী সাহিত্য সম্মাননা (২০১১), এশিয়ান কালচারাল লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (২০১৪), ডঃ রাধাকৃষ্ণন সম্মাননা (২০১৫), ডি.পি.এস.সি. সাহিত্য সম্মাননা (২০১৮), আত্মজন সম্মাননা (২০১৯), বিবেকানন্দ পুরস্কার (২০১৯), দীপালিকা সম্মাননা (২০১৯), সংহতি সম্মাননা (২০২০), সুকুমার রায় পুরস্কার (২০২০)।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!